দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগরে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityananda Rai)। তিনি বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও দলীয় কর্মীরা সেদিন হিংসার প্রতিরোধ না গড়তেন, তাহলে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) প্রাণহানীও ঘটতে পারত!”
শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের দূর্গ হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর-মজিলপুরে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সেখানেই রাজ্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। রাই বলেন, “গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার হিংসা পছন্দ করে। বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গাড়ি ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার সময় কনভয়ে যেভাবে হামলা চালানো হয়েছিল, তা অত্যন্ত লজ্জার। এর দ্বারা সরকারের মনোভাব বোঝা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “কনভয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তায় থাকায় এবং দলীয় কর্মীরা হামলার মুখেও প্রতিরোধ গড়ায় রক্ষা পেয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি। নইলে তাঁর প্রাণহানীও ঘটতে পারত।”
আরও পড়ুন: অমর্তের পাশে ‘বাঙালি বুদ্ধিজীবিরা’, ব্রাত্য বসুর আহ্বানে প্রতিবাদ সভা
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বঙ্গ জয়ের সম্ভাবনার বিষয়ে তাঁকে বেশ আত্মবিশ্বাসী শুনিয়েছে। নিত্যানন্দ রাইয়ের দাবি, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যবাসীদের মধ্যে ভয়-ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে। তা উপেক্ষা করেই রাজ্যের মানুষ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিজেপিকে জয়যুক্ত করবে।” বিজেপির অন্যান্য নেতাদের মতো তাঁর কথা প্রসঙ্গেও উঠে আসে তোলাবাজি ইস্যু। রাই বলেন, “এখানে দুই ধরনের ট্যাক্স আদায় করা হয়। একদিকে রাজ্য সরকার ট্যাক্স আদায় করে, আর অন্যদিকে তৃণমূল তোলাবাজি ট্যাক্স আদায় করে।” তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন মন্ত্রীর আসার পথে পুলিসের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া ছিল বিশেষ নিরপত্তা ব্যবস্থাও। রবিবারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়নগর থানা এলাকায় চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন বলে জানানো হয়েছে জেলা বিজেপির তরফে।
আরও পড়ুন: মমতার কাছে মমতার ছবি নিয়ে ‘মমতা’র অভিযোগ