Diamond Harbour: চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগে নার্সিংহোম মালিককে বেধড়ক মারধর, পুলিশে দায়ের অভিযোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

May 11, 2022 | 10:10 PM

Diamond Harbour: চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ ব্যাপক চাঞ্চল্য ডায়মন্ড হারবারে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের পরিবারের।

Diamond Harbour: চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগে নার্সিংহোম মালিককে বেধড়ক মারধর, পুলিশে দায়ের অভিযোগ
ছবি - ব্যাপক উত্তেজনা ডায়মন্ড হারবারে

Follow Us

ডায়মন্ড হারবার: চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগে নার্সিংহোমের মালিক ও কর্মচারীদের বেধড়ক মারধর মৃত শিশুর পরিবারের লোকজনের। বুধবার ডায়মন্ড হারবার থানার কপাটহাটের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ঘটেছে এই ঘটনা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবারের ষাটমনীষা এলাকার এক গৃহবধূ মারুফা বিবি (২১) প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। এক পুত্র সন্তানের জন্মও দেন তিনি। পরে সদ্যজাত শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার আগেই মৃত্যু হয়েছিল ওই শিশুর। নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই শিশুটির এই অবস্থা হয়েছে। এই অভিযোগেই মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন চড়াও হয় ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের কর্মী থেকে চিকিৎসকদের উপর। তাতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইতিমধ্যেই মারুফার স্বামী মাফিরুল মোল্লা ডায়মন্ড হারবার থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত নার্সিংহোমের তরফে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। 

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত শিশুর মা বলেন, ”প্রসবের পর প্রথমদিন আমার বাচ্চা ভালোই ছিল। কিন্তু, একটু ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ায় শরীর খারাপ করে। তখন ডাক্তার বাবুরা কিছু ওষুধের পাশাপাশি ইঞ্জেকশনও লিখে দেন। কিন্তু, লিখে দেওয়া হলেও ইঞ্জিকেশনই দেওয়া হয়নি। যে দিন লেখা হয়ছিল তার তিন দিন পর আমার বাচ্চাকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। বারবার বলার পরেও ওষুধও দেওয়া হয়নি। বাড়ির লোকেরা কথা বলতে গেলে তাদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয়। আজ সকালে আমার বাচ্চাটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা করা যায়নি। ওদের চিকিৎসার গাফিলতিতেই আমি বাচ্চাকে হারিয়েছে। সঠিক পরিষেবা মিললে আজ এই ক্ষতি হত না”।

 

Next Article