সিঙ্গুর: সিঙ্গুরের (Singur) মাটিতে দাঁড়িয়েই দিয়েছেন পালা বদলের ডাক। মমতা ব্রিগেডের আন্দোলনের চাপে পিছু হটেছিল টাটা। ইতি পড়েছিল ৩৪ বছরের বাম শাসনে। বাংলার মসনদে বসেছিলেন কালীঘাটের ‘ধন্যি মেয়ে’। তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। সিঙ্গুরের ক্ষমতাও গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের হাতে। বিধায়কের (MLA) আসনে বসেছেন বেচারাম মান্না (Becharam Manna)। এবার ক্ষমতায় আসার ১১ বছরের মাথায় সেই সিঙ্গুরেই পা রাখতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩ জুন সিঙ্গুরে যাচ্ছেন তিনি।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে একটি মঞ্চ থেকে একাধিক প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই মঞ্চ বাঁধার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। যে এলাকায় সভা হবে তা পরিদর্শন করেছেন জেলার একাধিক আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী বেচারাম মান্নাও। সূত্রের খবর, ওই দিন হুগলি জেলায় সম্পন্ন হওয়া একাধিক জনমুখী প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পাশাপাশি কামারকুন্ডুতে রেল উড়ালপুলেরও উদ্বোধন করতে পারেন তিনি।
অন্যদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরে গিয়ে বাজেমেলিয়ায় শীতলা মাতার মন্দিরে পুজো দেওয়ারও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এদিকে শেষ বিধানসভা ভোটে এই সিঙ্গুর নিয়ে নতুন করে চাপান-উতর শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। ভোটের আগেই দল বদলাতে দেখা যায় দেখা যায় এখানকার আদি তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টচার্যকে। যোগ দেন বিজেপিতে। অন্যদিকে পুরনো মাটি ফিরে পেতে জোরকদমে ঝাঁপায় বামেরাও। বেচা-রবীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে দেখা যায় তরুণ বাম নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে। যদিও শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসতে দেখা যায় তৃণমূলকেও। বড় জয় ছিনিয়ে নেন বেচারাম মান্না। এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জেলায় জেলায় প্রশাসনিক সভা করছেন মমতা। চলতি সপ্তাহেই বৈঠক যোগ দিচ্ছেন বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায়। এর পরেই নতুন মাসের শুরুতে উড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। তার আগে মমতার সিঙ্গুর সফর ঘিরে স্বভাবতই জোর চর্চা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।