পূর্ব বর্ধমান: বঙ্গ নির্বাচনের চতুর্থ দফায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। উত্তরবঙ্গে শীতলকুচিতে পাঁচ ব্যক্তির মৃ্ত্যুকে ঘিরে শাসক-বিরোধী চাপান-উতোর উঠেছে চরমে। এ বার সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন প্রদেশ কংগ্রেস (congress) সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পূর্বস্থলী দক্ষিণের সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের হয়ে শনিবার বিকেলে নিমতলা ফুটবল ময়দানে জনসভায় বক্তব্য রাখলেন অধীর (Adhir Chaudhury)।
জনসভা থেকেই এ দিন তীব্র ভাষায় নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমার সন্দেহ আছে নির্বাচন কমিশন বাংলার জল-হাওয়া-মাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কি না। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি করেছিল কমিশন। কিন্তু, আমার মনে হয়, নির্বাচন শান্তি শব্দের অর্থটাই বোঝেনি। ভোট করাতে, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে কমিশন। শীতলকুচিতে যে পাঁচজন মারা গিয়েছেন তার দায় কমিশনকেই নিতে হবে। বাংলায় তৃণমূল (TMC) আর বিজেপি (BJP), এই দুই দানবের রাজত্ব চলছে। এদের হাত থেকে বাঁচতে বাংলায় একমাত্র বিকল্প সংযুক্ত মোর্চা।’
প্রসঙ্গত, শনিবার চতুর্থ দফার ভোটের সকালে, শীতলকুচি ও মাথাভাঙার মধ্য়ে সংযোগকারী জোড়পাটকিতে সিআরপিএফের গুলিতে মৃত্যু হয় চার ব্য়ক্তির। এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শীতলকুচি। কমিশনের (Election Commission) নির্দেশে স্থগিত করা হয় ভোটপ্রদান। রাজ্য রাজনীতির পারদ উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে আসরে নামেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আগামিকাল, রবিবারই শীতলকুচিতে যাবেন বলে জানান মুখ্য়মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) পদত্যাগ দাবি করে আগামিকাল গোটা বাংলা জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
হাল ছাড়েনি গেরুয়া শিবিরও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্টই জনসভা থেকে বলেন, ‘শীতলকুচির ঘটনায় আমি দুঃখিত। দিদির সরকারে এমন অরাজকতা হবে এটাই স্বাভাবিক।’ কার্যত, ভোটসন্ত্রাসের কেন্দ্র হয়ে ওঠা শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে নড়েচড়ে বসে কমিশন। তড়িঘড়ি তলব করা হয় রিপোর্ট। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রিপোর্টে জওয়ানদের গুলি চালানোর কথা আছে। কমিশন সূত্রে জানানো হয়, এ বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।