শেওড়াফুলি: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে বাম ও কংগ্রেস জোট করেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেছে। তারপরও বিভিন্ন জেলায় বাম (CPIM) ও কংগ্রেসকে (Congress) আলাদাভাবে মনোনয়ন দিতে দেখা যাচ্ছে। তাহলে কি ভোটের আগেই জোট ধাক্কা খেল? এমন প্রশ্নও উঠছে রাজনৈতিক মহলে। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নান (Abdul Mannan)। এই সমস্ত ঘটনায় জোটের প্রতি সাধারণ মানুষ বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছেন বলেও মনে করেন তিনি। তাই ভোটের আগে দু-পক্ষকেই একসঙ্গে আন্দোলনে নামার বার্তা দিয়ে আব্দুল মান্নান বলেন, “শুধু ভোটের জন্য জোট করলে হবে না। ভোটের বাইরেও একসঙ্গে আন্দোলন করতে হবে। তবেই তার প্রভাব ভোটে পড়বে।”
বামেদের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে এদিন শেওড়াফুলিতে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আব্দুল মান্নান বলেন, “বর্তমানে রাজ্যের যা পরিস্থিতি জোট দরকার। আমি বরাবরই জোটের পক্ষে। তবে কেবল ভোটের সময় জোট করলে হবে না। ভোটের বাইরেও শাসকের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে এক সঙ্গে পথে নামতে হবে বাম-কংগ্রেসকে। বিধানসভাতেও আমি জোটের পক্ষে থাকার চেষ্টা করেছি। বাইরেও সেটা করতে হবে।”
২০২১ সালে জোট করে রাজ্যে শূন্য পেয়েছে বাম ও কংগ্রেস। যদিও কয়েক মাস আগে সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে তৃণমূলকে পরাস্ত করে জোট প্রার্থী। সেই ফলের দিকে নজর রেখে পঞ্চায়েত ভোটে বাম ও কংগ্রেস একসঙ্গে লড়বেন মনে করেছিলেন নীচুতলার কর্মীরা। দলীয় নেতৃত্বের তরফেও জোটের কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই ‘একলা চলো’-র ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়েরই বার্তা দিচ্ছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
যদিও ঠিকমতো ভোট হলে বাম, কংগ্রেসই উঠে আসবে বলে দাবি আব্দুল মান্নানের। তাঁর দাবি, “মানুষ খুব সজাগ আছে। যদি ভোট দিতে পারে সে জোট হোক বা না হোক তৃণমূল, বিজেপি হারবে। তৃণমূলের অবস্থা বিজেপির থেকেও খারাপ হবে। আর খেলা-ই যদি না হয় তাহলে কে কটা গোল দিল তার হিসাব করে কী হবে।” তবে জোটের পক্ষে সওয়াল তুলে তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেস কর্মী হিসাবে মনে করি, জোট করার দরকার আছে। তবে তা বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।”