কোচবিহার : পুলিশি অভিযান চলে মাঝে মধ্যেই। তা সত্ত্বেও মদ ও জুয়ার আড্ডা বেড়েই যাচ্ছিল এলাকায়। রাত বাড়লেই এলাকারই যুবকদের ভিড় বাড়ে সেই সব ঠেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্রমশ বিরক্ত হয়ে উঠছিলেন ওই ঠেকের জন্য। এবার মহিলারা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে সেই ঠেক ভেঙে দিলেন। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে সোমবার মদের ঠেক ভেঙে দেন মহিলারা। অভিযোগ, মদের নেশায় আকৃষ্ট হচ্ছিলেন এলাকার যুবকরাও। এবার প্রশাসনের উপর ভরসা না করে মদ ও জুয়ার ঠেক ভাঙতে আসরে নামল প্রমীলা বাহিনী।
সোমবার বিকেলে লাঠি বাঁশ নিয়ে তুফানগঞ্জের বক্সিরহাট থানার অন্তর্গত ঢলঢাবড়ি এলাকায় অবৈধ দেশি মদ ও জুয়ার ঠেকে হামলা চালাযন মহিলারা। নষ্ট করা হয় অসমের বিলেতি মদ সহ চোলাই ঘাঁটি। মহিলাদের এমন রূপ দেখে পালিয়ে যান অবৈধ মদ কারবারিরা। দিনের পর দিন অবৈধভাবে এই ব্যবসা চলছিল বলে অভিযোগ।
দীর্ঘদিন ধরে, প্রতিবেশী রাজ্য অসম থেকে মদ এনে প্রান্তিক এলাকায় ওই কারবার গজিয়ে উঠেছিল বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলাকায় অবৈধভাবে মদ ও জুয়ার ঠেক গজিয়ে ওঠায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
এলাকার মহিলা কণিকা প্রধান, রত্না সরকাররা জানান, পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম থেকে কম দামে মদ নিয়ে এসে বক্সিরহাটের ঢলঢাবরী এলাকায় রমরমিয়ে চলছে অবৈধ মদ ও জুয়ার আসর। এলাকার যুবকরাও মদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। তাই প্রশাসনের ওপর ভরসা না করে সংসার বাঁচাতে এই সমস্ত মহিলারা এগিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
যদিও মাঝেমধ্যে ওই এলাকায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ মদের ঘাঁটিতে যৌথ অভিযান চালানো হয় বলে দাবি। বক্সিরহাট আবগারি দফতরের এক আধিকারিক জানান, অভিযোগ এলেই, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ মদের ঘাঁটি ভাঙা হয়, এমন কি সোমবারও বক্সিরহাট থানার অন্তর্গত মানসাই এলাকায় অবৈধ মদের ঘাঁটিতে অভিযান চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই আধিকারিক।