ফালাকাটা: কালীপুজোর রাতে শিশুকে ধর্ষণ করে, খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে দেহ! শুক্রবার থেকেই এই অভিযোগে উত্তপ্ত আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা। গণপিটুনিতে মৃত্যুও হয়েছে অভিযুক্তের। সেই ঘটনায় এবার সামনে আসছে আরও বড় অভিযোগ। একজন নয়, শিশুকে ধর্ষণ ও খুন করার সময় দু’জন ছিল বলে অভিযোগ। দ্বিতীয় ব্যক্তি নিজের পিঠ বাঁচাতে গণপ্রহারে সামিল হন বলেও দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। শনিবার সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে ফালাকাটায়।
কালীপুজোর উৎসবের মাঝে প্রতিবেশী শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর অভিযুক্তকে ধরে সুপারি গাছে বেঁধে গণধোলাই দেন গ্রামবাসীর। ফালাকাটার ধনীরামপুর এলাকার ওই ঘটনায় গণপিটুনিতে অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। তবে মৃত শিশুর মায়ের দাবি, সে দিন দরজা খুলে দুজনকেই দেখেছিলেন তিনি। ওই দ্বিতীয় ব্য়ক্তির গায়েও লেগেছিল রক্ত।
মৃত শিশুর মা বলেন, “মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে ওদের বাড়ি যাই। দরজা খুলে দেখি ওর গায়ে রক্ত লেগে আছে। আর একজন ছিল। তার গায়েও রক্ত লেগেছিল। আমি পাগলের মতো মেয়েকে খুঁজতে থাকি। ওরা বলে, তোমার মেয়ে এখানে আসেনি।” পরে শিশুর বাবা পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মেয়ের দেহ দেখতে পান। ততক্ষণে দ্বিতীয়জনকে আর দেখতে পাওয়া যায়নি। মৃত শিশুর দাদুও এই একই অভিযোগ করেছেন।
আর শনিবার সকাল থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ফাঁসি দিতে হবে দ্বিতীয় অভিযুক্তকে। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।