Coochbehar TMC Group Clash: ‘ঠিক নেই উচ্চ-নেতৃত্বই’, অভিমানে দল ছাড়লেন একদল তৃণমূল নেতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 08, 2022 | 1:01 PM

Coochbehar: তৃণমূল সূত্রে খবর, কোচবিহারের তুফানগঞ্জে দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূল নেতারা। জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ মহকুমার নাককাটি গাছ অঞ্চলের অঞ্চল ও বুথের পদাধিকারীদের একটা বড় অংশ ইস্তফা দিয়েছেন দলের সকল পদ থেকে।

Coochbehar TMC Group Clash: ঠিক নেই উচ্চ-নেতৃত্বই, অভিমানে দল ছাড়লেন একদল তৃণমূল নেতা
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

কোচবিহার: পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেন থামছেই না শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। একাধিক তাবড়-তাবড় নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দিলেও নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই তা জেলার বিভিন্ন ঘটনা থেকে স্পষ্ট হচ্ছে। এবার গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তরবঙ্গের তুফানগঞ্জের বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শাসক দলের অঞ্চল ও বুথ নেতারা। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এক ঝাঁক নেতার ইস্তফায় কার্যত ব্যাকফুটে তৃণমূল।

তৃণমূল সূত্রে খবর, কোচবিহারের তুফানগঞ্জে দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূল নেতারা। জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ মহকুমার নাককাটি গাছ অঞ্চলের অঞ্চল ও বুথের পদাধিকারীদের একটা বড় অংশ ইস্তফা দিয়েছেন দলের সকল পদ থেকে। পদত্যাগের কারণ হিসাবে তাঁরা জানিয়েছেন, দলের নেতৃত্বরাই গোষ্ঠী কোন্দলে জড়িয়েছেন। সেই কারণে ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা।

কয়েকদিন আগে দলের জেলা কমিটির সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। প্রাক্তন সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। এরপর পরিবর্তন হয়েছে ব্লক স্তরের নেতৃত্ব ও অঞ্চল কমিটি। আর এসবের পরে তৃণমূল অন্দরে সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ। গোষ্ঠী কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে সর্বত্রই। এই সবের মাঝেই অঞ্চল ও বুথ স্তরে নেতাদের পদত্যাগ দলের কোন্দলকে আরও সামনে নিয়ে এসেছে।

নাককাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূব কংগ্রেস যুব সভাপতি সঞ্জীব কুমার দাস গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়ে কার্যত স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল লেভেলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। এর ফলে আমাদের কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছিল। যে কারণে আমি অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ও আরও অনেকে নীচু তলার পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। আমরা এখন নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ বুথ সভাপতি সৌমিত্র কর্মকার বলেন, ‘বর্তমানে উর্ধ্বতন নেতৃত্বের মধ্যে কোন্দল চলছে। এক কথায় টালবাহানা চলেছে। কাজ কর্ম করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আমার সাংসারিক অসুবিধাও আছে। তবে পরবর্তী দায়িত্ব কে পাবেন জানি না।’

অপরদিকে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, দলটাতে শৃঙ্খলা নেই। ধাপে-ধাপে অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ওদের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

Next Article