AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BSF: দিব্যি ইমাম সেজে নিচ্ছিলেন ভাতা, পড়াচ্ছিলেন রাজ্যের মাদ্রাসায়, পরিচয়টা সামনে আসতেই সব কেলেঙ্কারি ফাঁস

BSF: এতদিন ধরে বসবাস করছিলেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। এদেশে এসে আধার কার্ড, প্যান কার্ড থেকে ব্যাঙ্কের পাসবই- একাধিক ভারতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করে ফেলেন তিনি।

BSF: দিব্যি ইমাম সেজে নিচ্ছিলেন ভাতা, পড়াচ্ছিলেন রাজ্যের মাদ্রাসায়, পরিচয়টা সামনে আসতেই সব কেলেঙ্কারি ফাঁস
ধৃত মহম্মদ সেলিম আনসারিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 17, 2025 | 6:06 AM
Share

মেখলিগঞ্জ: অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করল বিএসএফ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএসএফ-এর ৬ নম্বর ব্যাটালিয়ন মেখলিগঞ্জের বাগডোকরা-ফুলকাডাবরির অর্জুন সীমা চৌকিতে টহল দেওয়ার সময় ধরা পড়ে ওই বাংলাদেশি। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল বলে বিএসএফ সূত্রে খবর। তাঁকে আটক করে সীমা চৌকিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই ধৃত ব্যক্তি স্বীকার করে নেন যে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। চার বছর আগে তিনি অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে ভারতে প্রবেশ করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এতদিন ধরে বসবাস করছিলেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। এদেশে এসে আধার কার্ড, প্যান কার্ড থেকে ব্যাঙ্কের পাসবই- একাধিক ভারতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করে ফেলেন তিনি।

ধৃতের নাম মহম্মদ সেলিম আনসারি (৩৩)। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার অন্তর্গত এলাকায়। জানা গিয়েছে, তিনি বেলডাঙায় মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন। একটি সেলাইয়ের দোকানে কাজও করতেন তিনি। পরে স্থানীয় এক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তিনি মকরামপুর দক্ষিণপাড়া মসজিদের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন। একই সঙ্গে একটি স্থানীয় মাদ্রাসায় শিক্ষকতাও শুরু করেছিলেন এই ব্যক্তি।

শুধু তাই নয় অন্যের নামে ইমাম ভাতা পর্যন্ত তুলতেন বলে জানিয়েছেন জেরায়। ইমাম ভাতার জন্য আবেদনের সময় সমস্ত নথি না থাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তির নামে আবেদন করেন। যা ভাতা ঢোকে সেই ভাতা মাসের শেষে ভাগাভাগি করে নিতেন তাঁরা! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে জিজ্ঞাসাবাদে।

এই ঘটনা সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে এক বাংলাদেশি নাগরিক বৈধ নথি ছাড়াই ভারতে বসবাস করছিলেন, এমনকী ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্বও পেয়েছিলেন? বিএসএফ-এর উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি মোহিত ত্যাগী জানান, ধৃতকে কুচলিবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সীমান্ত পার করতে সাহায্য করছিলেন যে দুই ভারতীয়, তাঁদের বিরুদ্ধেও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সেলিম আনসারির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে তোলা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম বলেন, “আমি এদেশে এসে ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছি। যদিও কিছু নথি এখনও তৈরি হয়নি। আমি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতাম এবং একটি মসজিদের ইমাম ছিলাম। বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতেই বাংলাদেশে ফিরছিলাম। দালালদের মোটা টাকা দিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলাম, তখনই বিএসএফ আমাকে ধরে ফেলে।”

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে যে অশান্তির ঘটনা ঘটে, তাতে বাংলাদেশি মদতের অভিযোগ উঠে এসেছিল। এরই মধ্যে ওই জেলার এক মসজিদের ইমামের পরিচয় নিয়ে উঠল বড় অভিযোগ।