দিনহাটা : রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের উপনেতা মিহির গোস্বামী। কটাক্ষের সুরে বললেন, “ভূতের মুখো রাম নাম।” শনিবার দিনহাটায় এক কর্মসূচি থেকে উদয়ন গুহ বলেছিলেন, “ঠিকাদারদের থেকে টাকা নেওয়া যাবে না।” সাধারণের মানুষদের সরকারি সহায়তা প্রকল্পের সুবিধা দিতে গিয়ে পঞ্চায়েতের নেতা ও কর্মীদের টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ উঠে এসেছে, সেই প্রসঙ্গেই দলের নীচু তলার নেতা-কর্মীদের সাবধান করে দিয়েছিলেন উদয়ন গুহ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর শনিবারের সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই তাঁকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন নাটাবাড়ির বিজেপি মিহির গোস্বামী।
উদয়ন গুহকে কটাক্ষ করে মিহির বাবু স্মরণ করিয়ে দেন, “চোরের মন সবসময় পুলিশ পুলিশ। বামফ্রন্টে থাকাকালীন সীমান্ত এলাকার সমস্ত সমস্ত সমাজ বিরোধীদের সঙ্গে উদয়ন বাবুর যোগাযোগ ছিল। এই বিষয়ে গোটা দিনহাটার মানুষের জানা আছে। তাই তাঁর ভয়ের কারণ থাকতেই পারে।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “উদয়ন বাবু বামফ্রন্টে থাকাকালীন তাঁর পিতার মন্ত্রিত্বের সুযোগ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বীজ নিগমের বীজ সাপ্লাই করেছিলেন, যে বীজে কোনও ফসল হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের সব গম চাষিদের চোখের জল ফেলতে হয়েছিল এবং বাংলার হাজার হাজার চাষিকে সেই গমের চাষ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হয়েছিল।”
মিহির গোস্বামী শীল কমিশনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, শীল কমিশনের রিপোর্টে উদয়ন বাবুর নাম রয়েছে। তিনি আরও জানান, দিনহাটায় পুলিশের গুলিতে পাঁচ জন ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মী মারা যান। তৎকালীন বাম সরকার এই নিয়ে কমিশন গঠন করে। সেই শীল কমিশনের রিপোর্টেও উদয়ান গুহর নাম রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মিহির গোস্বামী।
মিহির গোস্বামীর এই অভিযোগ প্রসঙ্গে, যোগাযোগ করা হয়েছিল উদয়ন গুহর সঙ্গেও। তিনি অবশ্য এই সব অভিযোগে বিশেষ আমল দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “ওনার কথার কী গুরুত্ব দেব? কোনও রাজনৈতিক গুরুত্বই নেই। উনি নিজেকে প্রাসঙ্গিক করার জন্য আমার বিরুদ্ধে কথা বলেন। এছাড়া তো ওনার নাম নিয়ে কোথাও আলোচনা হয় না। তাই আমার বিরুদ্ধে বলে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করেন।”