কোচবিহার: রাহুলের যাত্রায় সামিল হতে ২ হাজার কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে এসেছেন ৭০ পেরিয়ে যাওয়া পূর্ব বর্ধমানের প্রভাত দাস। ৭০ পেরিয়ে গেলেও আবেগে টান পড়েনি প্রভাত দাসের। বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বয়স। এখন তিনি ৭৩ এর কোঠায়। রাহুল গান্ধীর যাত্রায় অংশ নিতে বর্ধমান থেকে সাইকেল চালিয়ে প্রথমে ডিমাপুরে গিয়ে পৌঁছান। তারপর সেখানে একদিন রাত্রি যাপন করেন। সেখান থেকে নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা যান। সেখানেও একদিন রাত্রি যাপন করেন। এরপর আমগুড়ি যাবে বলে মনস্থ করেছিলেন। সেখান থেকে রাহুল গান্ধীর র্যালি ধরতে পারবে না বলে তিনি সেখান থেকে সোজা চলে আসেন কোচবিহারের কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে।
প্রভাতভাবু থাকেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার সিমলনে। দীর্ঘ পরিশ্রম করে রাহুলের ন্যায় যাত্রায় অংশ নিতে পেরে আপ্লুত তিনি। বলছেন, অভূতপূর্ব এই ন্যায় যাত্রা। সেখানে সামিল হতেই বাড়ি থেকে সাইকেল হাতে বেড়িয়ে পড়া। প্রচুর মানুষ রাহুলের সঙ্গে আছেন। তিনিও আছেন। তাই বয়স কখনওই কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমি এখনও ওনার সঙ্গে হাত মেলাতে পারিনি। তবে খুব কাছ থেকে দেখেছি। হাত নাড়িয়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এখন কোচবিহারের পার্টি অফিসে রয়েছে। এখানে কংগ্রেস কর্মীরা আমাকে খুবই ভাল করে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ জানুয়ারি কোচবিহারে ঢোকার কথা রয়েছে রাহুলের ন্যায় যাত্রার। ২৬ জানুয়ারি দুপুরে তা পৌঁছানোর কথা জলপাইগুড়িতে। সেখানেই মধ্যাহ্নভোজ সেরে ফের শিলগুড়ি থেকে শুরু হতে পারে ন্যায় যাত্রা। রাহুল আসার আগে যে জায়গা দিয়ে তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে সেই সমস্ত রাস্তা খতিয়ে দেখতে কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গে আসতে দেখা গিয়েছিল টিম রাহুলের সদস্যদের। জেলার কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে জলপাইগুড়ির নানা প্রান্ত ঘুরেও দেখেন।