মাথাভাঙা: রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা। ভাঙচুর করা হল হাসপাতাল। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির রোগীর পরিবারের দিকে।
কোচবিহারের মাথাভাঙা হাসপাতাল। সোখানেই রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে খবর। কোচবিহারের মাথাভাঙা পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফারুক রহমান। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মাথাভাঙা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ফারুক ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান তিনি। অভিযোগ, তখনই রোগীর পরিবার চিকিৎসককে মারধর করে। পাশাপাশি চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ হাসপাতালের ডাক্তার সঠিক সময়ে আসেন নি । বার বার বলা সত্যেও চিকিৎসা হয়নি । এরপরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে রুগীর আত্মীয় পরিজন । তারাই ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রোগীর পরিবারের এক সদস্য় বলেন, ‘আমরা গতকাল দেখি ওর পায়ে সাপের কামড় রয়েছে। তারপর যখন শরীর আরও অসুস্থ হয়ে যায় আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ওরা ভর্তি করেনি। বারবার জিজ্ঞাসা করি যে কখন ডাক্তার আসবে। কিন্তু ওরা কোনও উত্তর দেয়নি। পরে একবার জানায় যে ডাক্তার আসবে তাঁর সময় মতো। দশটার আগে নাকি তারা আসবে না। তাহলে চিকিৎসকরা কী করছেন এখানে? একটা রোগী মারা গেল বিনা চিকিৎসায়। এখন যদি আপতকালানীন কোনও কেস আসে তাহলে কি ওরা চিকিৎসা ছেড়ে বলবে সময় মতো ডাক্তার আসবে? ‘
অন্যদিকে, হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, রোগী আগে থেকেই অসুস্থ হয়েছিলেন। তারপর তাকে ভর্তি করা হয়।’
বিভিন্ন জেলাগুলি থেকে রোগী মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে বরাবরই। এক মাস আগে চিকিৎসার গাফিলতিতে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয় শান্তিপুরের একটি নার্সিংহোমে। অভিযোগ, প্রসূতির বাড়ির লোকজন ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। অভিযোগ, নার্সিংহোমের একাধিক জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পরই ভয় পেয়ে যান হাসপাতালের চিকিৎসকরা। চোখে মুখে তাঁদেরও উদ্বেগের ছাপ। পরে শান্তিপুর থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, এর আগেও এই নার্সিংহোমে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। সে সময়ও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল।