কোচবিহার: তিস্তা নদীর জলস্রোতে ভেসে যাওয়া দুইটি মৃতদেহ ভারতকে হস্তান্তর করল বাংলাদেশ। শুক্রবার ভারত বাংলাদেশের গিতালদহ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। সেই মিটিং এ দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পাশাপশি দুই দেশের পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার বাংলাদেশ বর্ডার গারর্ডস ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে মৃত দেহ দুইটি তুলে দিয়েছে।
সূত্রের খবর, তিস্তা নদীতে ভেসে বাংলাদেশের লালমনির হাট এলাকায় চলে গিয়েছিল মৃতদেহ দুটি। সেখানেই জলের মধ্যে ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে লালমনি হাট থানার পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে বিএসএফকে খবর দেওয়া হয়। ৯০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট পাপ্পু মিনা দিনহাটা থানার আধিকারিক রাজেন্দ্র তামাং সহ বি এস এফের শীর্ষ কর্তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং করেন। বাংলাদেশের লালমনিহাট থানার ওসি ওমর ফারুক, ১৫ নাম্বার বিজেবি কোম্পানি কমান্ডার শরিফুল ইসলাম সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন। তারপরেই দেহ হস্তান্তর করা হয়।
তবে দিনহাটার পর চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে আরও ২ টি মৃতদেহ বাংলাদেশ থেকে আসে ভারতে। এই দেহ দুটিও উদ্ধার হয়েছিল বাংলাদেশে। বাংলাদেশের লালমনিরহাট সংলগ্ন তিস্তায় দুটি দেহ উদ্ধার করে বাংলাদেশের পুলিশ ও বিজিবি। সেই দেহগুলি তিনবিঘা করিডর দিয়ে ভারতে আসে। এর মধ্যে একটি মহিলার দেহ ও একটি পুরুষের দেহ রয়েছে বলে খবর। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে পুরুষের যে দেহ পাওয়া গিয়েছে সেটি সেনার দেহ বলে অনুমান প্রশাসনের আধিকারিকদের। খবর পাওয়া মাত্রই তিনবিঘা করিডরে আসেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর আধিকারিকেরা।