সিতাই: যে ছ’টি জায়গায় উপ-নির্বাচন হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা। এবার সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী তথা জগদীশ বাসুনিয়ার স্ত্রী সঙ্গীতা রায়ের তপশিলি জাতি সার্টিফিকেট নিয়ে উঠল প্রশ্ন। তাঁর জাতিগত শংসাপত্র কি জাল? বিরোধীদের দাবি, হলফনামায় স্বামীর নামের জায়গায় পিতার নাম দিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তৃণমূল এই প্রার্থী।
সঙ্গীতা রায় বর্তমানে সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হলফনামা দেওয়ার সময় তিনি তাঁর স্বামী হিসেবে জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার নাম দিয়েছিলেন। অথচ সিতাই বিধানসভার উপনির্বাচনে তিনি স্বামীর জায়গায় পিতার নাম দিয়েছেন। আর এই নিয়েই দেখা দিয়েছে অসঙ্গতি। বিরোধীরাও আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা নির্বাচনী জনসভায় এসে সঙ্গীতা রায়কে তৃণমূলের সংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া স্ত্রী হিসেবেই সম্বোধন করে গিয়েছেন । এরপর হঠাৎ করে স্বামীর জায়গায় বাবার নাম দিলেন কেন দিলেন এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ।
এর পাশাপাশি তার তপশিলি জাতির সার্টিফিকেটটিও জাল বলে বলছেন অনেকেই। সোমবার স্কুটনির সময় কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তৃণমূল প্রার্থীর তফশিলি জাতির সার্টিফিকেট দেখানোর জন্য দাবি করা হয়েছে। অবজারভারের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু আধিকারিকরা কোন তপশিলি জাতির সার্টিফিকেট দেখাতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে বিজেপি। কংগ্রেসের তরফে ইতি মধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়নপত্র নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী ও তাঁর এজেন্ট। সোমবার দুপুরে ছিল মনোনয়ন পত্রর পরীক্ষার সময় মহকুমা শাসক দফতরে এসে কংগ্রেস প্রার্থী হরিহর রায় সিংহ ও তার এজেন্ট অভিযোগ জমা দেয় বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগের পাশাপাশি সঙ্গীতা রায়ের এসসি সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে এসসি সার্টিফিকেট দেখতে চান তারা। অবসারভারের উপস্থিতিতে সেই কাগজ দেখাতে চাইলেও। অবজার্ভার চলে যাওয়ার পর এস সি সার্টিফিকেট দেখাতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এই সমস্যার সমাধান না হলে হাই কোর্ট যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি প্রার্থী দীপক রায় জানান,”উপযুক্ত প্রমাণ সহ বিষয়টি সঠিক জায়গায় জানানো হবে।”