কোচবিহার: নির্বাচনের পরে ফের প্রকাশ্যে শাসকশিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দিনহাটার ২ নম্বর ব্লকের নাজির হাট গ্রাম। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তৃণমূলের (TMC) দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করারই অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান রেহানা সুলতানা ও তাঁর স্বামী মহম্মদ আলি মিঞার বিরুদ্ধে।
নাজির হাটের তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতি প্রশান্ত কুমার নারায়ণের অভিযোগ, পাওনা নিয়ে বচসার জেরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় পঞ্চায়েত প্রধান আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতা আবদুল মজিদ হক অভিযোগ করে বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ আনোয়ার হোসেন নামে এক তৃণমূল কর্মীকে কিছু হিসেব নিকেশের জন্য ডাকা হয়। তাকে কোনওরকম মারধর করা হয়নি। কিছু পাওনা বাকি ছিল। সেই কারণেই আনোয়ারকে ডাকা হয়েছিল। সেইসময়ে আচমকা তৃণমূল প্রধান রেহানা সুলতানা ও তাঁর স্বামী মহম্মদ আলি মিঞা কিছু দুষ্কৃতী নিয়ে এসে অতর্কিতে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। একজন দলের প্রধান হয়ে কী করে এই কাজ করতে পারেন এটাই হল প্রশ্ন!”
পাল্টা, রেহানা সুলতানা ও তাঁর স্বামী মহম্মদ আলি মিঞা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাঁরা এই ধরনের কোনও হামলার সঙ্গে যুক্ত নন। মহম্মদ আলি বলেন, “আমি নমাজ পড়তে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে শুনি, আমার এলাকার এক কন্ট্রাক্টরের উপর হামলা করে। আমি গিয়ে শুনতে পাই, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এমন কোনও হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই।”
তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি, দলবিরোধী কাজের অভিযোগ দেখিয়ে রেহানা সুলতানার উপর অনাস্থা এনেছেন পঞ্চায়েতের ৯জন সদস্য। আগামী ১০ দিনের মধ্যে রেহানাকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন ব্লক সভাপতি। তারপরেই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে বলেই মনে করছেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। তবে, এই প্রথম নয়, দিনহাটায় বরাবরই প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। নির্বাচন আবহে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে প্রায় ৬ জন নেতাকে শোকজ নোটিস দিয়েছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আরও পড়ুন: Exclusive Manoj Jha: মমতা বড় নাম, তবে মুখের রাজনীতি চান না আরজেডি-র ‘ভাইরাল সাংসদ’ মনোজ ঝাঁ