কোচবিহার: পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত বাক্যবাণ একেবারে ফুলঝুরির মতো বেরিয়ে আসছে নেতাদের মুখ থেকে। শাসক বিরোধী উভয় পক্ষই একে অপরকে জমি ছাড়তে নারাজ। তৃণমূল (TMC) নেতাদের আক্রমণের ধরন দেখে অনেকেই বলছেন, কেষ্ট মণ্ডল জেলে গিয়েছেন বলেই তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করার চেষ্টা করছেন সবাই। মন্ত্রী থেকে বিধায়ক প্রত্যেকেই বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন। এ ব্যাপারে ঘাসফুল শিবিরের অবশ্য কোনও দ্বিধা নেই। বিরোধীদে আক্রমণের মুখে যে শাসক দল চুপ করে বসে থাকবে না, সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা।
পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতেই নেতাদের মুখে হুমকির সুর! উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ থেকে শুরু করে সিতাই কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার গলাতেও একই সুর। এসব শুনে অনেকেই বলছেন তাহলে কি বীরভূম হতে বসেছে রাজার জেলা কোচবিহার? বীরভূম মডেল কি রপ্ত করতে চলেছেন এখানকার নেতা মন্ত্রীরা?
তবে এই তত্ত্ব মানতে রাজি নন তৃণমূলের নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ। তিনি জানান, রোজ সকালে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ যে ভাবে কথা বলা শুরু করেন, সে সব শুনে তাঁদের নেতারা কি চুপ করে বসে থাকবেন? তিনি আরও বলেন, ‘কোচবিহার বীরভূম হবে কেন? কোচবিহার বীরভূম নয়, এটা মহারাজার জেলা।’
তবে এই কথার সঙ্গে একমত নন বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস। তাঁর কথায়,’এটা তৃণমূলের কালচার। তবে বিজেপি সব জায়গায় পঞ্চায়েতে প্রার্থী দেবে। চোখে চোখ রেখেই কথা বলবে তৃণমূলের সঙ্গে।’