মেখলিগঞ্জ: ঠিক যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতার প্রতিচ্ছবি। পরকীয়ার ‘অভিযোগে’ প্রকাশ্য দিবালোকে মহিলার গলায় জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল বাজারে। অভিযুক্ত এলাকারউ অন্যান্য মহিলারা। তাঁরা আবার নিজেদের মহিলা সমিতির সদস্য বলেও দাবি করলেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে মেখলিগঞ্জের চ্যাংড়াবান্ধা অঞ্চলের বড়কামাত এলাকায়। শেষে অপমান সইতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করে নির্যাতিতা। ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনায় গ্রেফতার ৫।
মেখলিগঞ্জ মহকুমা চ্যাংড়াবান্ধা এলাকার বড়কামাত বাজার সংলগ্ন এলাকার এক গৃহবধূ পরকীয়ায় জড়িয়ে স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যায় বলে শোনা যায়। পড়ে তিনি ৬ মাস পর স্বামীর বাড়ি ফিরলে এলাকার মহিলারা সেই গৃহবধূর উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। চরিত্রহীন বলে দাগিয়ে দিয়ে চলতে থাকে অত্যাচার। ওই গৃহবধূকে একেবারে তাঁর স্বামীর সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে এসে জুতোর মালা পরিয়ে স্থানীয় বাজার-সহ গোটা এলাকা ঘোরানো হয়।
অবাক করার মতো বিষয় হল, এলাকার মহিলারা চড়াও হলেও নির্যাতিতার স্বামীর তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। স্বামীও স্পষ্টতই জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী কোনও পরকীয়ায় জড়ায়নি। শুধু সে বাপের বাড়িতে ছিল। অন্যদিকে চূড়ান্ত অপমান সইতে না পেরে বাড়ি ফিরে ওই গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। তাঁর স্বামীই তাঁকে উদ্ধার করে মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই গৃহবধূ। এই ঘটনা নিয়ে মেখলিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন গৃহবধূর পরিবার। সেই ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ এলাকার পাঁচ মহিলাকে গ্রেফতার করেছে।