Abhishek Banerjee: ফাঁকা মাঠ-মঞ্চ, নেই একজনও দলীয় কর্মী, অভিষেকের নির্দেশের পরও হল না পুনর্নির্বাচন

Abhishek Banerjee: বুধবার সকাল ১০-৫ টা পর্যন্ত গোসানিমারি ও সাহেবগঞ্জে পুনর্নির্বাচন হবে। কিন্তু এক্ষেত্রেও হল অন্যথা। বুধবার সকালে দেখা গেল ধু ধু করছে ফাঁকা মাঠ। কোথাও কোনও দলীয় কর্মীই নেই। দেখা গেল, কোনও লোক আসেননি ভোট গ্রহণ করাতে।

Abhishek Banerjee: ফাঁকা মাঠ-মঞ্চ, নেই একজনও দলীয় কর্মী,  অভিষেকের নির্দেশের পরও হল না পুনর্নির্বাচন
ফাঁকা মাঠ, নেই কোনও দলীয় কর্মী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 26, 2023 | 12:18 PM

কোচবিহার: কোচবিহারের সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুল মাঠে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় দলীয় কর্মীদের সাবধান করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ঘোষণাও করেছিলেন, বুধবার সকাল ১০-৫ টা পর্যন্ত গোসানিমারি ও সাহেবগঞ্জে পুনর্নির্বাচন হবে। কিন্তু এক্ষেত্রেও হল অন্যথা। বুধবার সকালে দেখা গেল ধু ধু করছে ফাঁকা মাঠ। কোথাও কোনও দলীয় কর্মীই নেই। দেখা গেল, কোনও লোক আসেননি ভোট গ্রহণ করাতে। সোমবার থেকে অভিষেকের ৬০ দিনের কর্মসূচি সাজিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মূলত অ্যাসিড টেস্ট করে নিতে চাইছে শাসকদল। এটি দলেরই একটি স্ট্র্যাটেজি। আসলে দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদলের কাছে এখন মুখ্য চ্যালেঞ্জ এমন এক জন দলের নেতাকে প্রার্থী করা, যাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। জনসমক্ষে অন্তত তাঁকে তুলে ধরা যাবে। ‘জনসংযোগ যাত্রা’র শুরুতেই অভিষেক জানান, তিনি ভাল মানুষের খোঁজে পথে নামছেন। কিন্তু এই ‘ভাল মানুষের’ খোঁজ করতে গিয়েও বেঁধেছে গোল।

মঙ্গলবার সাহেবগঞ্জের সভা শেষে সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে কর্মসূচিতেই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিষেক বলেছিলেন, “মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছি। উপস্থিত তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন এবং মতামত জানান।” সবে বলে তিনি মঞ্চটা ছেড়েছিলেন। শীতলকুচি পর্যন্ত পৌঁছতেও পারেননি তিনি। তার মধ্যেই গন্ডগোল। ভোট দিতে মঞ্চের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এমনকি ব্যালট বাক্স পর্যন্ত ভেঙে যায়।

খবর পৌঁছতেই স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত হন অভিষেক। ব্যালট বাক্স ভাঙা নিয়ে কটাক্ষ করতে থাকেন বিরোধীরাও। অভিষেক বলেন, “সিতাইয়ে আমার সভায় একটি ব্যালট বাক্স রাখা ছিল। সেখানে কিছু মানুষ অত্যুৎসাহী হয়ে ভোট দিতে গিয়ে ব্যালট বাক্সটি প্রায় ভেঙে ফেলেছেন।” আবারও ওই এলাকায় ‘নির্বাচন’ হবে বলে জানিয়ে দেন। বুধবার সকাল থেকে কোনও তৎপরতাই দেখা যায়নি ওই এলাকায়। ফাঁকা মাঠ, ফাঁকা মঞ্চ, খালি ব্যালট বাক্স। অন্ততপক্ষে বেলা এগারোটা পর্যন্ত তো ‘নিরর্থক’হয়েই রইল নেতৃত্বের নির্দেশ।