কোচবিহার: বর্ষার তিস্তায় ভয়াবহ নৌকাডুবি। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ১৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে একজনের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে। নামানো হয়েছে স্পিডবোট। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ। জানা গিয়েছে, ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেই ১৭ জন কৃষক এই নৌকা করে যাচ্ছিলেন। শুধু তাঁরাই নন, সঙ্গে ছিল ১২৩ বস্তা বাদাম। অতিরিক্ত ওজনের কারণে নৌকা ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
এদিকে নৌকাটি ডুবে যাওয়ার পর ১৬ জন নদীর তীরে উঠে আসতে পারলেও একজনের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেখলিগঞ্জের বিডিও অরুণকুমার সামন্ত, মেখলিগঞ্জের ওসি রাহুল তালুকদার, মেখলিগঞ্জের সিআই পূরণ রাই, সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। বিএসএফের স্পিড বোট ও অন্যান্য নৌকা নামিয়ে এখনও জোর কদমে তল্লাশি চলছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “নৌকাটা মোটামুটি তখন ডাঙার কাছাকাছি এসে গিয়েছে। মাথাটা প্রায় ডাঙা ছুঁই ছুঁই। পিছনটাই হঠাৎ উল্টে যায়। একেবারে অন্ধকার তো। কতদূর কী ডুবেছে বুঝতে পারেনি কেউই। হুড়মুড়িয়ে সব জলে গিয়ে পড়ে। ১৬ জন উঠে এসেছে। বলরাম মণ্ডল নামে একজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। উনিই নৌকার মাঝি। আমি ছিলাম মালের বস্তাগুলির সঙ্গে। আমারও বাদামের বস্তা ছিল।” এদিকে এই ঘটনার পর ভয়ে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন স্থানীয়রা। চারদিক তখন অন্ধকার। এলাকার লোকজন যে যার মতো লম্ফ, টর্চ নিয়ে এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। বাদাম বোঝাই বস্তাগুলির অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।