পূর্ব বর্ধমান: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) দাপটে বন্ধ ছিল করোনা টিকাপ্রদান। শুক্রবার, আকাশ পরিষ্কার হতেই ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নেওয়ার ভিড় দেখা যায়। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এদিন টিকা নিতে ভিড় জমান অনেকে। কিন্তু, হাসপাতালে টিকা না পেয়ে হয়রানির শিকার হন অনেকেই। বাধ্য হয়েই হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিড় জমান টিকাপ্রাপকরা।
স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা প্রাপকদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বিগত দুদিন টিকাদান বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালেই টিকা (COVID vaccine) নিতে যান অনেকে। কিন্তু হাসপাতালের তরফে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়, পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় করোনা টিকা প্রদানের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। অনেকেই দুদিন-তিনদিন ঘোরার পর কুপন পেতে হাসপাতালে এসেছিলেন। অনেকেই আবার কুপন পেয়েও টিকা পাননি বলে অভিযোগ। কেন টিকা না থাকায় টিকা মজুত করা হয়নি, কেনই বা আগে থেকে তা টিকাপ্রাপকদের জানানো হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অভিযোগ, নীরবই থেকেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে টিকাপ্রাপকরা জানতে পারেন পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেইমত পুরসভাতেই লাইন দেন টিকাপ্রাপকরা।
কাটোয়া পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নোডাল অফিসার অরিন্দম বিশ্বাস জানান, পুরসভায় দুটি করোনা টিকাকরণ কেন্দ্র করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে এই কেন্দ্র দুটিতে ‘সম্মুখ যোদ্ধা’দের (COVID Frontline Warrior) টিকা দেওয়া হচ্ছে। এদিন থেকে রোজই চলবে টিকাকরণ। টিকা পেতে হয়রানি রুখতে টোকেন দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ‘সম্মুখ যোদ্ধা’ হিসেবে মূলত, আইনজীবী,লক্লার্ক, সাংবাদিক, হকার,পরিবহণ কর্মী, ওষুধের দোকানের কর্মীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সরকারি টিকাকেন্দ্রে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে শুধুমাত্র নির্বাচিত গোষ্ঠীকেই করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। অপর দিকে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদেরও প্রথম টিকা পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। সরকারি কেন্দ্রগুলিতে টিকাটান হওয়ায় রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন টিকাপ্রাপকরা। তবে, জানা গিয়েছে, জুনের মাঝামাঝি থেকেই বেসরকারি হাসপাতালগুলি সরাসরি টিকা কিনতে পারবে। যার জেরে, টিকার আকাল অনেকটা রোধ করা যাবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: বিপদের নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস! এ বার রামপুরহাটে সংক্রমিত ৮৬ বছরের বৃদ্ধা