বংশীহারী: পেশায় নাকি পশু চিকিৎসক। তিনি নিজেকে সরকারি কর্মী পরিচয় দিয়ে আবাস যোজনার ঘরের সার্ভে করছেন। আর ঘর সার্ভে করতে গিয়ে উপভোক্তাদের কাছ থেকে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল। কারও কাছে ১০০, আবার কারও কাছে ৫০০ বা ১০০০ টাকা নিচ্ছেন। এই টাকা নেওয়ার পেছনেও অদ্ভুত যুক্তি রয়েছে। সার্ভে করার জন্য বাইকের তেল খরচ, মধ্যাহ্নভোজন, টিফিনের জন্য সরকার টাকা দিচ্ছে না। তাই উপর থেকে নির্দেশ দেওয়া আছে এই খরচের টাকা নিজেকেই তুলে নিতে হবে। সরকারি আবাস যোজনার ঘর পাওয়া উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়৷ যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা। বিজেপির দাবি, নিজেকে সরকারি কর্মী পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি আসলে একজন পশু চিকিৎসক। তিনি কী করে এই টাকা তুলছেন? বিজেপির দাবি, এর পেছনে তৃণমূল রয়েছে।
জানা গিয়েছে, টাকা চাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মৃতম হালদার। বাড়ি বংশীহারী থানার দৌলতপুরে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্যাণী গ্রামে ওই ব্যক্তি আবাস যোজনার সার্ভে যান। সেখানে গিয়ে ঘর পাওয়ার লিস্ট থেকে নাম কেটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রাপকদের কাছ থেকে ৫০০, ১০০০ টাকা করে দাবি করছেন বলেই অভিযোগ। ভাইরাল ভিডিয়োতে অবশ্য ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, যাঁরা টাকা দিতে পারছেন না, তাঁদের কাছ থেকে টাকা না নিয়েই কাজ করে দিচ্ছেন। মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হুরমত আলি টাকা চাওয়া নিয়ে বংশীহারীর বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এদিকে অভিযোগ ওঠা ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “বংশীহারী ব্লকে এক সরকারি কর্মীর আবাস যোজনার ঘর দিতে টাকা চাওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। আমরা মনে করি, এর পেছনে তৃণমূলের হাত আছে। কারণ শাসকদলের যোগসাজস ছাড়া করা সম্ভব নয়। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার।”
এবিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানান, “এধরনের কোনও অপরাধ করে থাকলে তা প্রশাসনকে জানালে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও এবিষয়ে বংশীহারীর বিডিও সুব্রত বল বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”