বালুরঘাট: দিন কয়েক আগে তিন মহিলার দণ্ডি কাটার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। এবার সেই তিন মহিলার সঙ্গেই সাক্ষাৎ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বালুরঘাটে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই ওই তিন মহিলাকে দণ্ডি কাটতে হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করতে দেখা যায়। মঙ্গলবার কর্মসূচির মাঝেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন অভিষেক। বসে চা খেলেন, কথা বললেন। শুনলেন মহিলাদের কথা। অভিযুক্ত নেত্রীর বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করার ইঙ্গিতও দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়েই উত্তরবঙ্গ সফর করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি পৌঁছে যান দক্ষিণ দিনাজপুরে। এদিন সন্ধ্যার দিকে তিনি ওই তিন মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকসাথীহারে তিন মহিলাদের ঘরে ডেকে একান্তে কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার, মহিলা তৃণমূলের নবনিযুক্ত স্নেহলতা হেমব্রম, আদিবাসীদের তৃণমূলের জেলা সভাপতি সন্তোষ হাঁসদা সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
গত এপ্রিল মাসের ঘটনা। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদ সনকইর এলাকায় প্রায় ২০০ মহিলা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। সেই যোগদানকারীদের মধ্যে চারজন – মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মার্ডি, ঠাকরণ সরেন ও মালতি মুর্মুকে বালুরঘাট শহরের কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে নিয়ে য়েতে দেখা যায়। সেখানে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেন। বিজেপি দাবি করে, শাস্তিস্বরূপ ওঁদের দণ্ডবত পরিক্রমা করানো হয় ওই মহিলাদের। তাঁদের শাসকদলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও দাবি করেছিল বঙ্গ বিজেপি।
দণ্ডি কাণ্ডের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার প্রদীপ্তার বিরুদ্ধে দলগত ও প্রশাসনিক গত ব্যবস্থা নেওয়ার কড়া বার্তা দিলেন অভিষেক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, যে যত বড়ই নেত্রী হন না কেন, দল তাঁর বিরুদ্ধে দলগত ও প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেবে। এনিয়ে দণ্ডি কাটা তিন মহিলার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে, তাঁরা জানান, যা বলার তাঁরা অভিষেককে জানিয়েছেন।