Balurghat College: ভাল রেজাল্ট করেও ঠাঁই নেই মেধা তালিকায়, আচমকা বাতিল আবেদনপত্র! কী হচ্ছে বালুরঘাট কলেজে?
Balurghat College: গত ১৮ জুলাই থেকে কলেজে ভর্তির আবেদন শুরু হয়৷ অন্যান্য বেশ কয়েক বছরের মত এবারেও অনলাইনেই আবেদন করে পড়ুয়ারা। কিন্তু, চূড়ান্ত মেধাতালিকায় বের হতেই সামনে আসতে থাকে একাধিক অভিযোগ।
বালুরঘাট: আবেদন করেছিল প্রায় ৭ হাজারের কাছাকাছি পড়ুয়া। কিন্তু, ভাল রেজাল্ট করেও মেধাতালিকায় ঠাঁই নেই প্রায় দেড় হাজার ছাত্রছাত্রীর। বাতিল হয়ে গিয়েছে আবেদনপত্র। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট কলেজে। সোমবার বিষয়টি নজরে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলা জুড়ে। পড়ুয়াদের দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্যই এমনটা হয়েছে। মেরিট লিস্টে নাম না থাকার ফলে বিপাকে পড়েছেন পড়ুয়ারা। ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে উদ্বেগের বাতাবরণ। তবে কোনও যোগ্য পড়ুয়াকে ভর্তি থেকে বঞ্চিত করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, গত ১৮ জুলাই থেকে কলেজে ভর্তির আবেদন শুরু হয়৷ অন্যান্য বেশ কয়েক বছরের মত এবারেও অনলাইনেই আবেদন করেন পড়ুয়ারা। গত ৫ তারিখ অগস্ট অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন ছিল। তার তিন চার দিন আগে থেকে এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে অনেকের আবেদনপতত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়। যদিও পরবর্তীতে ১০ ও ১১ অগস্ট আবেদনপত্র সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু, ১৬ অগস্ট মেধাতালিকা বের হলে দেখা যায় নাম নেই একটা বড় অংশের পড়ুয়ার। বহু পড়ুয়ার দাবি, তাঁরা যোগ্য হয়েও সুযোগ পাননি। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে খাতায়-কলমে ১৪৯৮ জনের এই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে সমস্যা? সে বিষয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশের মত কলেজের সার্ভেরের সমস্যার জন্য তাঁদের আবেদনপত্র আচমকা বাতিল হয়ে গিয়েছে।
এবিষয়ে বালুরঘাটের কৈগ্রামের ছাত্রী জয়িতা মুখার্জি বলেন, “আমি অনলাইনে আবেদন করেও আমার নাম মেধাতালিকায় আসেনি। এখন আমি অন্য কলেজেও আবেদন করতে পারছিনা। কলেজ বলেছে, আমরা নাকি মোবাইলে ওটিপির মাধ্যমে আবেদন বাতিল করেছি। কিন্তু আমার মোবাইলে কোন ওটিপি আসেনি। কি হবে বুঝতে পারছি না।” এ বিষয়ে বালুরঘাটের সাইবার ক্যাফের এক বিশেষজ্ঞ বিশ্বজিৎ প্রামাণিক বলেন, “আমি দীর্ঘ ১২ বছর ধরেই ভর্তি সংক্রান্ত কাজ অনলাইনে করছি। কাজেই কলেজ সম্পূর্ণ ভুল বলছে। কলেজের কথা মত যদি ছাত্রছাত্রীরাই রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করে থাকে তাহলে পরবর্তীতে আবেদন ও ভুল সংশোধনের পরেও তাহলে মেধা তালিকায় কেন নাম আসেনি?”
অন্যদিকে এবিষয়ে বালুরঘাট কলেজের অধ্যক্ষের দ্বায়িত্বে থাকা প্রশান্ত ধাইর বলেন, “কলেজের অনলাইন পোর্টালে দুটি অপশন ছিল। এক রেজিষ্ট্রেশন ক্যানসেল ও অন্যটি কোর্স ক্যানসেল। ছাত্রছাত্রীরা কোর্স ক্যানসেল করতে গিয়ে ভুলবশত মোবাইলের ওটিপির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ক্যানসেল করে দিয়েছে। যার ফলে এই বিপত্তি হয়েছে। কলেজের তরফে ছাত্রছাত্রীদের আবার ফোন ও ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কাউকে ভর্তি থেকে বঞ্চিত করা হবে না।” এদিকে এরমধ্যে সোমবার চতুর্থ মেরিট লিস্ট বেরিয়েছে। সব মিলিয়ে সাতটি মেয়েটির বের হবে বলে কলেজের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।