বালুরঘাট: জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ভিতর দিয়ে নতুন করে কাঁটাতার দেওয়া হবে। চলছিল মাপজোক। মাপজোক হলেই পোঁতা হত পিলার। সে ক্ষেত্রে বহু ভারতীয়র চাষের জমি নষ্ট হবে। অথচ জিরো পয়েন্ট থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১৫০ মিটার ভিতর দিয়ে কাঁটাতার দিলে গ্রামবাসীদের চাষের জমি নষ্ট হবে না। তাই ঘেরা দেওয়ার কাজে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। বিষয়টি জানতে পেরেই রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস সহ পুলিশ বাহিনী। গ্রামবাসী ও বিএসএফে-র সঙ্গে কথা বলেন আইসি।
তবে গ্রামবাসীদের দাবি, বিএসএফ যেভাবে ঘিরতে চাইছে, সেভাবে দিলে অনেক কৃষকের সব চাষের জমি নষ্ট হয়ে যাবে। তবে নিরাপত্তার কারণে জোর করে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দিলে তাঁদের কিছু করার থাকবে না। তাঁরাও চান ঘেরা হোক। তবে তাঁদের জমি বাঁচিয়ে।
বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুলকিপুর গ্রাম। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে পুরো গ্রাম। যেখানে প্রায় ৫৭ টি আদিবাসি পরিবার বাস করেন। সকলের জীবিকা কৃষিকাজ। এই এলাকায় গোটায় কাঁটাতার থাকলেও ওই এলাকায় কয়েকশো মিটার উন্মুক্ত আছে। কাঁটাতার দেওয়া নেই৷ সেই জায়গা ঘেরা। এমনকী, ওপারে থাকা ভারতীয় গ্রামকে এপারে নিতে গ্রামের ওপার দিয়ে কাঁটাতার দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছে বিএসএফ। এর জন্য বেশ কয়েকবার মাফজোক হয়। শনিবার পিলার পোঁতার কথা ছিল। কাজ শুরু হতেই তা আটকে দেন গ্রামবাসীরা।
এলাকাবাসীর দাবি, চাষের জমি নষ্ট করে নয়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ও পতিত পরে থাকা জমি দিয়ে কাঁটাতার দেওয়া হোক। এতে একদিকে যেমন তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে। ঠিক তেমন তাঁদের চাষের জমি ক্ষতিও হবে না। এদিকে চাষের জমি নিলেও সেখানে কোওন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে গ্রামবাসীদের কিছু জানানো হয়নি। বিএসএফ কাঁটাতার দেবে জানতে পেরেই ভুলকিপুর গ্রামের পাশেই অবস্থান করছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষীরা। এ প্রসঙ্গে ভুলকিপুরবাসী হেমন্ত মুর্মু বলেন, “আমাদের জমি নষ্ট হচ্ছে। পিলার দিলে নষ্ট হবে। বিএসএফ এই নিয়ে কিছু বলেননি। শুধু বলছে আমরা প্রহরী। আমরা কিছু বলতে পারব না। যা করছে সরকার করছে।”