Balurghat: বেতন পাচ্ছেন না অস্থায়ী কর্মীরা? মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালের কাজ বন্ধের ডাক

Rupak Sarkar | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 17, 2024 | 12:16 PM

Balurghat:উল্লেখ্য,বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনে প্রায় ১০০-র বেশি অস্থায়ী কর্মী রয়েছে। বালুরঘাটে জেলা হাসপাতালের পুরোনো ভবনে কর্মীরা একটি এজেন্সি মাধ্যমে কাজ করে থাকেন। এছাড়াও জেলাতে প্রায় ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। যার ২৭ টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করেন।

Balurghat: বেতন পাচ্ছেন না অস্থায়ী কর্মীরা? মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালের কাজ বন্ধের ডাক
অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

বালুরঘাট: বিগত ন’মাস ধরে নিয়মিত বেতন না মেলার অভিযোগ। দিন দিন বকেয়ার পরিমাণ বাড়ছে। বর্তমানে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও এজেন্সির মালিককে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলেও অভিযোগ। তাই নিয়মিত বেতনের দাবিতে আগামী মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনের অস্থায়ী কর্মীরা।

শুধুমাত্র জেলা হাসপাতাল নয়, ওই এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করা গ্রামীণ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মীরাও নির্দিষ্টকালের বন্ধের ডাক দিয়েছে। রবিবার জেলা অস্থায়ী কর্মীরা বিষয়টি জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার থেকে অস্থায়ী কর্মীরা কর্মবিরতি করলে হাসপাতালের পরিষেবা ব্যহত হবে। হাসপাতালের নোংরা আবর্জনা পরিস্কার হবে না। মূলত এই অস্থায়ী কর্মীরা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনে সাফাইয়ের কাজ,নিরাপত্তারক্ষী ও অন্যান্য গ্রুপ ডি-র কাজ করে থাকেন। খোকন সরকার নামে এক অস্থায়ী কর্মী বলেন, “সেপ্টেম্বর মাস থেকে এজেন্সির মালিক অজয়বাবু কোনও বিল পাচ্ছেন না বলে শুনতে পাচ্ছি। টাকা চাইতে গেলে বলছে ৫০০ নাও, ১০০০ টাকা নাও। আমাদের তো সংসার চলছে না। তাই এই সিদ্ধান্ত।”

উল্লেখ্য,বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনে প্রায় ১০০-র বেশি অস্থায়ী কর্মী রয়েছে। বালুরঘাটে জেলা হাসপাতালের পুরোনো ভবনে কর্মীরা একটি এজেন্সি মাধ্যমে কাজ করে থাকেন। এছাড়াও জেলাতে প্রায় ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। যার ২৭ টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করেন। অভিযোগ, গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন না এজেন্সি। যার ফলে অস্থায়ী কর্মীদের সময়মতো বেতন দিচ্ছেন দিতে পারছেন না তারা। এদিকে নিয়ে ওই এজেন্সির তরফ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলা শাসককে লিখিত হয় বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি। বালুরঘাটের ট্রেজারি অফিসার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বিল আটকে রেখেছে বলে দাবি উঠছে। গঙ্গারামপুরের ট্রেজারি অফিসার ওই এজেন্সির বকেয়া বিল মিটিয়ে দিলেও বালুঘাটের ট্রেজারি অফিসার সেই বকেয়া বিল পরিশোধ করছে না বলেই অভিযোগ হাসপাতাল থেকে এজেন্সির। যদিও অভিযোগ ওঠা ট্রেজারী অফিসার চিন্ময় হালদারকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

এজেন্সির মালিক অজয় কুমার ঘোষ বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে টাকা পাচ্ছি না। এই বিষয়ে যখন আমি বিল জমা দিচ্ছি সব থেকে কম বিল ছাড়া হচ্ছে। গঙ্গারামপুর হাসপাতালে অসুবিধা হচ্ছে না। এখানে হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করছে বলেই মনে হয়।” অপরদিকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ সুদীপ দাস বলেন, “ওদের বিলিং সংক্রান্ত সমস্যা আছে। চেষ্টা করছি সমাধানের। আজই এজেন্সির সঙ্গে বসব। আশা করছি এরপর আর হবে না।”

 

Next Article