বালুরঘাট: আবার উত্তপ্ত নন্দপুর। রাতের অন্ধকারে তৃণমূল দুই নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি। মঙ্গলবার সকালে ঘটনায জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর নাগরে। গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ এনামুল রহমান চৌধুরী ও নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সাজেদুর রহমান চৌধুরীর বাড়ির সামনে গতকাল গভীর রাতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। যদিও বোমাবাজির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। তবে আতঙ্কে রয়েছেন ওই দুই তৃণমূল নেতা ও তাঁদের পরিবার। আতঙ্কিত গোটা গ্রামের মানুষ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নাকি অন্য কোন বিষয় রয়েছে এই বোমাবাজির পিছনে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে এদিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই বোমাবাজি বলে দাবি উঠেছে। তদন্তে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর নাগর এলাকার বাসিন্দা এনামুল রহমান চৌধুরী ও সাজেদুর রহমান চৌধুরী এরা দুজনেই তৃণমূল নেতা। গতকাল রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে নিজের নিজের বাড়িতেই ঘুমোচ্ছিলেন তাঁরা। দুই তৃণমূল নেতারই অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে তাদের বাড়িতে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজি করা হয় বাড়ির সামনেও। বোমাবাজির ফলে পাকা দেওয়াল কিছুটা ফেটে গিয়েছে। আবার কোথাও টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পরে তাঁরা বাইরে বের হলে কাউকে দেখতে পাননি। তবে তাদের অনুমান তাদের বিরোধী গোষ্ঠী এমনটা করতে পারে। এরপরই তারা দলীয় পর্যায়ে ও গঙ্গারামপুর থানায় খবর দেয়। এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলছে। এদিকে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
বিজেপি নেতা স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর অঞ্চল তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন অশান্তি লেগেই থাকে। গতকাল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এক নেতা আরেক নেতার বাড়িতে বোমা ফেলেছে। কারোর মৃত্যু হয়নি। কিন্তু এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে।”
গ্রামের প্রধান নুরুল ইসলাম গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “আমি প্রধান হিসাবে বলতে চাই, যারা করেছে, তারা তো বাইরের নয়, এলাকায় লোক। কিন্তু এই ধরনের কাজে এলাকার বাসিন্দারাই আতঙ্কে রয়েছে। আমরা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। পঞ্চায়েত অফিসে বসে আলোচনা করেছি।বিষয়টা দেখা হচ্ছে, কাদের ইন্ধনে এসব কাজ করছে।”