Balurghat Vote Boycott: সরু আলপথেই চলাচলের ভরসা, নেতানেত্রীকে চাপে রাখতে গ্রামবাসীদের একটা হাতে লেখা কাগজই যথেষ্ট

Rupak Ghosh | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 02, 2023 | 10:58 AM

Balurghat Vote Boycott: জল কাদার কারণে হেঁটে চলাচল করা যায় না আলপথ দিয়ে। তাই কখনও পুকুর পার দিয়ে আবার কখনও জমির সরু আল দিয়েই চলতে হয়। এই রাস্তার জন্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে বার বার জানিয়েও মেলেনি রাস্তা।

Balurghat Vote Boycott: সরু আলপথেই চলাচলের ভরসা, নেতানেত্রীকে চাপে রাখতে গ্রামবাসীদের একটা হাতে লেখা কাগজই যথেষ্ট
গ্রামে চলাচলের জন্য এই রাস্তাই একমাত্র ভরসার

Follow Us

বালুরঘাট: আগে রাস্তা পরে ভোট। রাস্তা না হলে ভোটও নয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া পোস্টার পড়ল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মজাতপুর গ্রামে। এমন পোস্টার সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটে। রাস্তা না হলে শুধু পঞ্চায়েত ভোট নয়, আগামীদিনে সব ভোট বয়কট করতে পারেন বলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা সাফ জানিয়েছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের তরফ থেকে ওই গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলেই খবর।

অভিযোগ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মূলত সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। এই গ্রাম পঞ্চায়েত কার দখলে তা নিয়েও জটিল সমীকরণ রয়েছে। কংগ্রেসের প্রধান, বামেদের উপপ্রধান নিয়ে বোর্ড গঠনে প্রথম সহযোগিতা করেছিল বিজেপি। যদিও পরে প্রধান মধুপা পাহান তৃণমূলে যোগদান করেন। বর্তমানে পঞ্চায়েত কার দখলে রয়েছে তা বলা মুশকিল। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের চিঙ্গিশপুর থেকে মাজাতপুর গ্রামের নন্দি কালীপাড়া পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা প্রয়োজন। ওই গ্রামের প্রায় ১০০ ভোটার রয়েছে। অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকেই জমির আল দিয়েই চলাচল করেন গ্রামবাসীরা। এমনি সময়ে কোনওরকমে চলাচল করা গেল বর্ষার সময় বাদে সব থেকে বেশি সমস্যা।

রাস্তা খারাপ, ভোট বয়কট

জল কাদার কারণে হেঁটে চলাচল করা যায় না আলপথ দিয়ে। তাই কখনও পুকুর পার দিয়ে আবার কখনও জমির সরু আল দিয়েই চলতে হয়। এই রাস্তার জন্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে বার বার জানিয়েও মেলেনি রাস্তা। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাজাতপুর গ্রামের বাসিন্দারা। ভোট বয়কটের কথা লিখে গ্রামে রীতিমতো পোস্টার লাগানো হয়েছে। অভিযোগ, বহুবার দাবি করেও ওই রাস্তা মেলেনি। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই রাস্তা না পেলে আগামীতে গ্রামের কেউ ভোট দেবেন না বলে সাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা।

এদিকে গ্রামে প্রায় শতাধিক ভোটার রয়েছে। যার ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রশাসন তো বটেই, সব রাজনৈতিক দলেরই চিন্তা বাড়াচ্ছে এই গ্রামের রাস্তা। এবিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা মহেন্দ্র পাহান বলেন, “আমাদের গ্রামে ঢোকার রাস্তা নেই৷ বর্ষাকালে আমাদের গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। এই রাস্তার কারণে আমাদের গ্রামের কোন উন্নয়ন নেই। তাই আমরা সিন্ধান্ত নিয়েছি, কেউ ভোট দেব না।”

এবিষয়ে চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামের উপপ্রধান উৎপল বর্মন বলেন, “ওই গ্রামের তরফ থেকে আমাদের কাছে এখনও কিছু জানায় নি। বিষয়টি গ্রামে গিয়ে খতিয়ে দেখব। প্রয়োজনে রাস্তার কাজের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”

এবিষয়ে পালটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, ওই পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলে গিয়েছে৷ গ্রাম উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র সরকার টাকা পাঠাচ্ছেন। কিন্তু সেই টাকা খরচ করতে ব্যর্থ তৃণমূল। সেই জায়গা থেকে গ্রামবাসীরা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তবে ভোট বয়কট কোন সমস্যার সমাধান নয়।

এবিষয়ে তৃণমূলের বালুরঘাট ব্লক সভাপতি স্বপন বর্মন বলেন, বিজেপির তরফ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিত্তীহীন। সকলেই জানে কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দীর্ঘদিন ধরে দিচ্ছে না। যার ফলে বহু কাজ আটকে রয়েছে। আমাদের মনে হয়, এর পেছনে কোন রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত রয়েছে।

অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা শাসক বিহীন কৃষ্ণা বলেন, বিষয়টি এখনো নজরে আসেনি। তবে রাস্তা যদি খারাপ থাকে সেখানে নিশ্চয়ই আমাদের টিম যাবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদকে জানানো হবে সেখানে গিয়ে রাস্তার এস্টিমেট করে কি ভাবে রাস্তা করা যায় তা দেখার জন্য।

 

Next Article