বালুরঘাট: বাড়ির বাথরুম থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরচ্ছিল গতকাল থেকেই। আজ সকাল থেকে সেই গন্ধ আরও বিকট হয়। মরা-পচা গন্ধে এলাকায় টিকতে পারছিলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। কীসের গন্ধ, সেই বিষয়টি দেখতে গিয়ে বাথরুম থেকে উদ্ধার হল মহিলার পচন ধরা দেহ। বুধবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের চকভৃগু গ্রামে। মৃতার নাম মুক্তি দাস ঘোষ (৪৮)। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাবাসীরা খবর দেন বালুরঘাট থানায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
জানা যাচ্ছে, এই চকভৃগু গ্রামের পাশাপাশি মুক্তি দাসের আরও একটি বাড়ি আছে বালুরঘাট শহরে। স্বামীর কর্মসূত্রে অনেকদিন ধরে সেখানেই থাকছিলেন তাঁরা। আর গ্রামের বাড়িতে থাকতেন মৃতার শাশুড়ি। তবে তিনিও অনেকদিন ধরে অন্যত্র ভাড়া বাড়িতে উঠে গিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা এই বাড়িতে মাঝে মধ্যে আসতেন, তবে বেশিরভাগ সময়েই ফাঁকাই পড়ে থাকত বাড়িটি। আজ সকালে ওই বাড়ি থেকে বিকট গন্ধ আসতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীদের। এরপর সন্ধেয় খোঁজখবর করতেই দেখা যায় বাড়ির শৌচাগারে পড়ে রয়েছে গৃহবধূর পচন ধরা দেহ।
এদিকে পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ৩০ অক্টোবর অর্থাৎ পরশু থেকে ওই মহিলার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মৃতার স্বামী শঙ্করচন্দ্র ঘোষ ও অন্যান্য আত্মীয় পরিজনরা খোঁজাখুঁজিও করেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এরপর আজ সন্ধেয় চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুরের গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূর দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কয়েকদিন আগেই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহবধূ। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বছর খানেক আগে ওই গৃহবধূর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এর আগেও মহিলা এক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।