Gangarampur: নামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, অথচ ইঁদুরে কাটছে এক্স-রে মেশিন!

Rupak Sarkar | Edited By: Soumya Saha

Mar 03, 2023 | 11:31 AM

South Dinajpur: জেলার গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় ক্রমশ তার প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা পরিষেবার উপরেও।

Gangarampur: নামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, অথচ ইঁদুরে কাটছে এক্স-রে মেশিন!
গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

Follow Us

গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল (Gangarampur Super Speciality Hospital)। দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই বিগত প্রায় দেড় মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন (Digital X Ray)। নষ্ট হচ্ছে দামি যন্ত্র। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইঁদুরে কেটেছে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। মেশিন বিকল হয়ে পড়ে থাকায় সমস্যার মধ্যে পড়ছেন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও রোগীর পরিজনরা। জেলার গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় ক্রমশ তার প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা পরিষেবার উপরেও। যদিও হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক বাবুসোনা সাহা জানাচ্ছেন, গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের পরিষেবা শুরু হয়েছিল। গ্রামীণ এলাকার মানুষেরাও যাতে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পান, তা নিশ্চিত করতে এই ডিজিটাল এক্স-রে পরিষেবা শুরু হয়েছিল। উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিগত প্রায় মাস দেড়েক ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন। দীর্ঘ দেড় মাস ধরে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকার ফলে, বর্তমানে বিকল্প একটি মেশিনে এক্স-রে করা হচ্ছে। তবে সেই মেশিনটি তুলনামূলকভাবে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের মতো কর্মক্ষম না হওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যায় এক্স-রে প্রতিদিন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।

এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা তপন সরকার বলেন, ‘গঙ্গারামপুর হাসপাতালের ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি খারাপ থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন রোগী ও তাদের পরিজনরা। এক্স-রে করতে বেসরকারি ল্যাবে যেতে হচ্ছে। দ্রুত এক্স-রে মেশিন সারাই করা হলে উপকৃত হবেন সাধারন মানুষরা।’ অন্যদিকে পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার বাবুসোনা সাহা। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘একটি এক্স-রে মেশিন খারাপ থাকলেও অপর একটি চলছে। সেটি দিয়েই বর্তমানে রোগী পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।’

Next Article