বালুরঘাট: দলের তরফে মেলেনি টিকিট। তাই নমিনেশনের শেষ দিনে তৃণমূলের (Trinamool Congress) হয়েই গোঁজ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া। কুমারগঞ্জের জেলা পরিষদের ৯ নম্বর আসন থেকে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। তবে শুধুমাত্র মফিজউদ্দিন মিঁয়া নয়, কুমারগঞ্জে ৮ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের গোঁজ প্রার্থী হিসাবে সুপর্ণা রায় বৃহস্পতিবার বিকালে মনোনয়ন জমা দেন বলে খবর। এদিকে মফিজউদ্দিন মিঁয়ার বদলে ৯ নম্বর আসনে দল টিকিট দিয়েছে কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরফ হোসেন মণ্ডলের ছেলে রেজাউল মণ্ডলকে।
কুমারগঞ্জের পাশাপাশি হিলির দুটি জেলা পরিষদের ১৩ ও ১৪ নম্বর আসনে তৃণমূলের তরফে গোঁজ প্রার্থী হিসেবে বিদ্যুৎ মালি ও সইফুল আলম রানা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন৷ যদিও কুমারগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল বলেন, দল যাকে টিকিট দিয়েছে তিনিই একমাত্র তৃণমূলের ভোটে লড়বেন।
অন্যদিকে, দল প্রার্থী করলেও জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি ললিতা টিজ্ঞা আবার নিজের আসন নিয়ে খুশি নন। গঙ্গারামপুরের আসনের পরিবর্তে তাকে বালুরঘাটের আসনে প্রার্থী করা হয়। সেই ক্ষোভ থেকে ভোটে লড়ছেন না তিনি। তাঁর পরিবর্তে তড়িঘড়ি জেলা আদিবাসী সেলের তৃণমূল সভাপতি তথা ডিপিএসসির চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদার স্ত্রী কল্পনা মুর্মুকে প্রার্থী করা হয়েছে। এদিন তিনিও মনোনয়ন দিয়েছেন।
গোঁজ প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া জানান, তাঁর এলাকায় কে মনোনয়ন জমা দিয়েছে তা তিনি জানেন না। এমনকি গ্রাম সভায় কে প্রার্থী তাও জানেন না। এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি নিখিল সিংহ রায় বলেন, “দলীয়ভাবে যে নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেটাই আসল তালিকা। ওই তালিকা অনুযায়ীই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করেছে। তবে অনেকেরই প্রার্থী হওয়ার আশা ছিল। তাই অনেকে হয়তো দাঁড়িয়েছে।”