Balurghat: এবার ড্রেন চুরি! আগা-মাথা না করেই লাগানো হল বোর্ড

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 27, 2023 | 12:37 AM

Balurghat: জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছারি পাড়া এলাকার ওই নর্দমা নির্মাণের জন্য।

Balurghat: এবার ড্রেন চুরি! আগা-মাথা না করেই লাগানো হল বোর্ড
এই সেই বোর্ড

Follow Us

পতিরাম: নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের বরাদ্দ টাকায় তৈরি করা হয় নর্দমা। তবে সেই নর্দমা যতটা দীর্ঘ হওয়ার কথা ছিল, ততটা নেই! অভিযোগ, সামনে ও পিছনের দিক থেকে ১০০ মিটার করে নর্দমা পুরো উধাও। অথচ জেলা পরিষদের তরফে নর্দমার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এমন ফলক ঝুলছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছাড়িপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। শাসক দল তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে নর্দমা চুরির অভিযোগ উঠেছে। যদিও জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁঞার দাবি, নর্দমার কাজ শেষ মাথা থেকে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় সমস্যার কারণে মাঝখানে করা হয়েছে। বর্ষার আগে নতুন করে ওই নর্দমা শেষ করার জন্য বরাদ্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছারি পাড়া এলাকার ওই নর্দমা নির্মাণের জন্য। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ প্রায় দিন ১৫ আগে এই কাজ শুরু করেছিল। এরপর রাতারাতি একটি বোর্ড ঝুলিয়ে চলে যান কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার। যা দেখেই চোখ কপালে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঠিকাদারের লাগানো বোর্ডেই লেখা রয়েছে পতিরামের তৃপ্তি হোটেল থেকে আত্রেয়ী নদী পর্যন্ত ড্রেনটি নির্মাণ করার কথা। তৃপ্তি হোটেলের দিকেও তৈরি হয়নি কোনও নর্দমা, আবার শেষেও হয়নি কাজ। শুধুমাত্র মাঝখানে ড্রেনের কিছুটা অংশের কাজ হয়েছে। তারপরেও কীভাবে কাজ শেষ বলে এলাকা ছাড়লেন ঠিকাদাররা, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রথম থেকেই নর্দমার কাজ নিয়ে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। এরপর আচমকাই বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন ঠিকাদাররা। অনেকে আবার বলছেন, টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ করে চলে গিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন তাহলে রাতের অন্ধকারে কেনই বা এলাকায় ওই ঠিকাদার তাঁর কাজ শেষের সাইনবোর্ড ঝোলালেন?

যদিও এই ঘটনা নিয়ে অন্য সুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের গলায়। যাঁকে ঘিরেই উঠেছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় এমনিতেই এলাকার মানুষ যে সমস্যায় ডুবেছিল, এই অর্ধেক ড্রেন নির্মাণের জেরে সেই সমস্যা দ্বিগুন হবে। এই ঘটনা নিয়ে কাটমানি তত্ত্বকে সামনে এনে শাসকদলের নেতাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

এমনকী এই ঘটনা নিয়ে জোরাল তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আম আদমি পার্টির জেলা ইনচার্জ মৃত্যুঞ্জয় বসাকও। তাঁর কথায় এলাকায় গেলেই দেখা যাবে অর্ধেক ড্রেন তৈরি হওয়া সত্ত্বেও বোর্ড ঝুলছে। যার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

Next Article