Gold Theft: হাতের কারসাজি, সোনা কেনার অছিলায় গায়েব দেড় লক্ষের গয়না

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 29, 2022 | 11:39 PM

Gold Theft: শুক্রবার দুপুরের দিকে বালুরঘাট শহরের বুড়া কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকার একটি সোনার দোকানে দু'জন গ্রাহক আসেন। তাঁরা জানান, সোনার গয়না কিনবেন। তারপরই ঘটে যায় এই ঘটনা।

Gold Theft: হাতের কারসাজি, সোনা কেনার অছিলায় গায়েব দেড় লক্ষের গয়না

Follow Us

বালুরঘাট: সোনা কিনবেন বলে দোকানে এসেছিলেন। আর সোনা কেনার অছিলায় দোকান থেকে গয়না নিয়ে চম্পট দিলেন দুই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের বুড়া কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকার একটি সোনার দোকানে। সেই চুরির (Gold Theft) বিষয়টি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ সহ শনিবার বিকেলে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন দোকানের মালিক। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ গ্রাম সোনার গয়না চুরি গিয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ (Balurghat Police Station)। 

শুক্রবার দুপুরের দিকে বালুরঘাট শহরের বুড়া কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকার একটি সোনার দোকানে দু’জন গ্রাহক আসেন। তাঁরা জানান, সোনার গয়না কিনবেন। সোনার চেন দেখানোর কথা বলেন কর্মীদের। ওই দোকানের ম্যানেজার একের পর এক সোনার চেন দেখাতে থাকলেও তাঁদের পছন্দ হয়নি। তাঁরা মঙ্গলসূত্র দেখানোর কথা বলেন। এরপর ওই দোকানদার একটি বাক্সবন্দি সোনার চেন, আংটি-সহ অনেক গয়না বের করে দেখাতে থাকেন। সেইসময় দোকানদারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে একটি সোনার চেন তুলে নেন। যা নজরে আসেনি ওই দোকানের কর্মীদের। ওই দুই ব্যক্তি জানান, একটি সোনার চেন তাঁদের পছন্দ হয়েছে। পরে এসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাঁরা দোকান থেকে চলে যান৷ পরে সোনা মেলাতে গিয়ে সন্দেহ হয় দোকান কর্তৃপক্ষের। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই সোনার চেন চুরির ঘটনা সামনে আসে। গায়েব হওয়া ওই সোনার চেনের ওজন প্রায় ৩০ গ্রাম। মূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। রাতেই বালুরঘাট থানায় খবর দেওয়া হয়। শনিবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

ওই সোনার দোকানের ম্যানেজার চন্দন দাস বলেন, “ওই দুইজনসোনার চেন নেবে বলেছিল। এরপর একের পর এক সোনার চেন দেখতে গিয়ে একটা চেন তুলে নিয়েছে। পরে আসবে বলে তারা আর আসেনি। এরপর বিষয়টি নজরে আসে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সহ একটি অভিযোগ বালুরঘাট থানায় দায়ের করেছি।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি বালুরঘাটের বাসিন্দা নন। তাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন। পুলিশের অনুমান, তাঁরা এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা নিজেদের বিএসএফ জওয়ান বলেও পরিচয় দেন। পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। 

বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, “সোনার দোকানে সোনা চুরির ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে আমরা শীঘ্রই সোনার দোকানগুলির নিরাপত্তা নিয়ে একটি বৈঠকে বসব। যাতে সোনার দোকানগুলির নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।”

Next Article