দক্ষিণ দিনাজপুর: মনোনয়ন পত্রের স্ক্রুটিনি চারিদিকে যখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হচ্ছে, ঠিক তখন উলটপুরান দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলায়। তৃণমূলের (Trinamool Congress) ভুলের কারণে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী। মনোনয়নপত্রের স্ক্রটিনি শেষে দেখা যায় গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকোইর বুথে বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় আসায় উচ্ছ্বসিত পদ্ম শিবির। শনিবার বিকালে মিষ্টিমুখ করে বিজয়োল্লাসে মাতলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে গঙ্গারামপুরের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে আবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথের দুটি ভাগ রয়েছে। ৮ ও ৯ বুথেই তৃণমূল প্রার্থীরা দুটি ক্ষেত্রেই ৯ উল্লেখ করেছে। যার ফলে একজনের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। ফলস্বরূপ ৮ নম্বর বুথে শুধুমাত্র বিজেপি প্রার্থীরই মনোনয়ন গ্রাহ্য হয়েছে। এসেছে সহজ জয়।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস গঙ্গারামপুর ব্লকের জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৪ নম্বর বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর বুথেও তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন।
এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকির বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস গঙ্গারামপুরে দুটি পঞ্চায়েত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। তবে উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথের ঘটনাটি আমাদের প্রার্থীর ভুলে বিজেপির জয় এসেছে। এতে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। আগামী ২০ তারিখের মধ্যে আরও অনেক নাম প্রত্যাহার হবে। অনেক সিটেই তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করবে।”
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, দলের কর্মীদের ভুলের কারণেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে পেরেছে বিজেপি৷ ফর্ম ফিলাপের সময় দুজন প্রার্থী একই বুথ নম্বর দেওয়ায় একজনের নমিনেশন বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “শাসকদল সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে৷ আজ স্ক্রুটনি শেষে দেখা যায় গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথ বিজেপি বাদে কোনও রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেয়নি। যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন।”