বালুরঘাট: সরকারি বাসের টিকিট (Govt bus tickets) কাটতে আর দাঁড়াতে হবে না লাইনে। এবার থেকে ঘরে বসে অনলাইনে টিকিট (Online Ticket) কেটে সরকারি বাসে যাতায়াত করার সুযোগ মিলতে চলেছে৷ সৌজন্যে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। আগামী মার্চ মাস থেকেই এই পরিষেবা মিলতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি। সংস্থার নির্দিষ্ট অ্যাপ থেকেই কাটা যাবে টিকিট। যার ফলে ভোগান্তি কমবে। বাঁচবে সময়ও। বৃহস্পতিবার বিকালে বালুরঘাটে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার ডিপো ও বাস স্ট্যান্ড পরিদর্শন করে এমনটাই জানালেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ।
এদিন ডিপো পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাটের ডিপো ইনচার্জ প্রশান্ত সরকার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। যাত্রী হয়রানি রোখার পাশাপাশি সরকারি বাসের কর্মীদের নিরাপত্তায় আরও একগুচ্ছ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাইছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় একাধিক বেসরকারি বাস মালিক নীল রঙের গাড়ি পথে নামিয়েছেন। তাই এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ নিজেদের লোগো বাসে বাসে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে একঝলকে কোনটি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস তা যাত্রীরা বুঝতে পারছেন। নিরাপত্তার জন্য ব্রেক লাইট ও বাসে রিফ্লেক্টর ইত্যাদি লাগানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গজুড়ে বিভিন্ন ডিপো ও বাসস্ট্যান্ডগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিকাঠামো উন্নয়নে নতুন করে নজর দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাট সরকারি বাসস্ট্যান্ডের খানাখন্দগুলিও বুজিয়ে নতুন করে পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগী হবেন বলেও জানিয়েছেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই।
অ্যাপেই কাটা যাবে টিকিট
বালুরঘাট ডিপো পরিদর্শনের পর সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই বলেন, “অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করার পদ্ধতি দ্রুত চালু হবে। এতে যাত্রীরা বাড়িতে বসে টিকিট বুক করে যাতায়াতের সুযোগ পাবেন৷ এছাড়াও এটিএম কার্ড সহ নানা পরিষেবা চালু করা হবে। মূলত যাত্রী হয়রানী আটকাতেই এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।” দীপঙ্করবাবু আরও বলেন, “সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় কর্মী নিয়োগ আপাতত করা যাচ্ছে না। তবে আমরা আয় বাড়াতে নানা রকম উদ্যোগ নিয়ে নিচ্ছি।” তবে চিন্তা রয়েছে অন্য জায়গায়।
কর্মী সঙ্কট বাড়াচ্ছে চিন্তা
সূত্রের খবর, বর্তমানে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার মাত্র ৫৭০টি বাস রাস্তায় চলছে। বাকি কয়েক শো বাস বসে রয়েছে। এর মধ্যে এসি বাস পরিষেবাগুলিও বন্ধ হয়ে রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। বর্তমানে সংস্থা নো প্রফিট, নো লসে চললেও, আয় বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা। তবে বর্তমানে কর্মী সঙ্কটের জেরে বাড়ছে চিন্তা। প্রায় ছয় হাজারের মতো কর্মীর প্রয়োজন হলেও, এই মুহূর্তে মাত্র ৬০০ জন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। বাকি অস্থায়ী ও এজেন্সি মারফত কর্মী নিয়োগ করে চলছে কাজ। স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মী মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ২৮০০-র কাছাকাছি কর্মী নিয়ে চলছে কাজ।