পতিরাম : সবজি বাজার করতে এসেছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না। ষাঁড়ের গুঁতো মৃত্যু হল বৃদ্ধের। মৃত বৃদ্ধের নাম সুশীল বর্মণ (৭৭)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার পতিরাম থানার অন্তর্গত ঠাকুরপুরা এলাকায়। ঘটনার পর তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের। পরে হাসপাতালে যায় পতিরাম ও বালুরঘাট (Balurghat Police Station) থানার পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের (Balurghat Hospital) পুলিশ মর্গে পাঠান। বৃদ্ধের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিষয়টি ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের নজরে এনেছেন স্থানীয়রা।
রবিবার সকালে ঠাকুরপুরা বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন সুশীল বর্মণ। সেই সময় বাজার এলাকাতেই দুটি ষাঁড়ের মধ্যে লড়াই হচ্ছিল। বৃদ্ধ সুশীল বাবু সেই সময় পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন। তখনই ঘটনাটি ঘটে। একটি ষাঁড় ছুটে এসে গুঁতো মারে সুশীল বর্মণকে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। শিং-এ তুলে পাকা রাস্তার উপর আছাড় মারে সুশীল বর্মণকে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। সেই সময় আশপাশের আরও দুই জনকে গুঁতো মারে ষাঁড়টি। যদিও তাঁদের জখম তেমন গুরুতর নয়। এদিকে ঘটনার পর স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি সুশীল বর্মণকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রায় আধ ঘণ্টা পর মৃত্যু হয় বৃদ্ধের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ষাঁড়টি এর আগেও বহু মানুষকে গুঁতো মেরেছিল। অতীতেও ষাঁড়টির গুঁতোয় অনেকেই জখম হয়েছিল। পুরো বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নজরে এনেছেন এলাকাবাসীরা। ঘটনার সময় বৃদ্ধের ছেলে বাড়িতে ছিলেন। ভাগ্নির বিয়েতে গিয়েছিল বৃদ্ধের ছেলে যোগেশচন্দ্র বর্মণ। সেখানে পৌঁছেই খবর বাবার মৃত্যুর খবর পান তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে ভাগ্নির বাড়ি থেকে ছুটে এসেছেন তিনি। সুশীল বর্মণের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিজনদের মধ্যে।