বালুরঘাট : নাবালিকা ভাগ্নিকে দেখভাল করার নামে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ। এদিকে ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসতেই প্রতিবেশী দুই যুবকের নামে থানায় ভাগ্নিকে গণধর্ষণের মামলা করতে আসেন অভিযুক্ত মামা। এমনকি নাবালিকার মায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন। নাবালিকার মা সব জেনেও চুপ ছিলেন বলে অভিযোগ করেন। এরপরই পুলিশি জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে মামা ভাগ্নির নিরাপত্তা চেয়ে থানায় দ্বারস্থ হন, নিজেই পুলিশের জালে ফেঁসে যান। অভিযোগ, ওই দুই যুবকের পাশাপাশি মামাও নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন। পুলিশ তিন যুবককেই গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাট ব্লকে।
জানা গিয়েছে, ১৫ বছর বয়সী ওই নাবালিকার বাড়িতে বেশিরভাগ সময় কেউ থাকে না। মা সকাল হলেই কাজে বেরিয়ে যান। বাবা বাড়িতে থাকেন না। বাড়িতে বেশিরভাগ সময় ওই নাবালিকা ও তার ভাই থাকে। বাড়ির দেখাশোনার জন্য নাবালিকার মা দূর সম্পর্কের এক ভাইকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। অভিযোগ, সেই সুযোগেই নাবালিকাকে তার বছর আঠাশের ওই মামা ধর্ষণ করেন। মাকে যাতে না বলে সেই ভয়ও দেখানো হয়।
এদিকে এরই মাঝে ওই নাবালিকাকে একা পেয়ে আরও দুই যুবক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। সেই খবর পেতেই অভিযুক্ত মামা ওই দুই যুবকের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে আসেন। কিন্তু অভিযোগ করতে এসে নিজের আসল কীর্তি বেরিয়ে যায়।
বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, “ভাগ্নিকে দুই যুবক ধর্ষণ করেছে বলে ওই যুবক থানায় অভিযোগ করতে আসে৷ সেই যুবকের অভিযোগে অসঙ্গতি পাই। এরপর ভাগ্নি ও মামাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল তথ্য উঠে আসে। ওই মামাই তার ভাগ্নিকে ধর্ষণ করত। পাশাপাশি আরও দুই যুবক ধর্ষণ করেছে।” ঘটনায় ওই নাবালিকার মা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। আজ ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।