বালুরঘাট: কটুক্তির প্রতিবাদ করায় ছুরিকাহত হলেন মা এবং ছেলে। আক্রান্তদের নাম স্বপ্না সরকার মহন্ত এবং শীর্ষেন্দু মহন্ত। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহন্তপাড়া এলাকায়। ছুরিকাহত হয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মা ও ছেলে। রবিবার দুপুরে বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তারা। তার পর বাড়ি আসেন। গতকাল রাতেই বালুরঘাট থানায় গৌরাঙ্গ মহন্ত-সহ মোট তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্তের পরিবার। অভিযোগ পেতেই রবিবার ভোরে গৌরাঙ্গ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় বাকি দুই অভিযুক্ত বিশ্বচন্ডী মহন্ত ও রকি মহন্ত পলাতক।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই এলাকার দুই মহিলাকে দেখে কটুক্তি করত প্রতিবেশী গৌরাঙ্গ মহন্ত। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। শনিবার রাতে ফের এলাকার দুই মহিলাকে দেখে কটুক্তি করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন স্বপ্না সরকার মহন্ত ও তাঁর ছেলে শীর্ষেন্দু মহন্ত। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়ে তাঁদের। অভিযোগ, সে সময় গৌরাঙ্গ বাড়ি থেকে সবজি কাটা ছুরি নিয়ে এসে শীর্ষেন্দু ও তাঁর মা স্বপ্নাদেবীকে মারতে উদ্যত হন। আটকাতে গিয়ে স্বপ্নাদেবীর আঙুলও কেটে যায়। এর পর আহত মা ও ছেলেকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ মহন্ত ও তাঁর দুই ভাইপো বিশ্বচন্ডী মহন্ত ও রকি মহন্ত। এদিকে গতকাল গভীর রাতে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্তের পরিবার। মোট তিনজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেতেই এদিন ভোরে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় জখম মা ও ছেলে। ছুরি চালানোর ঘটনায় মায়ের চারটি সেলাই পড়েছে। বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ মহন্তকে রবিবার বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্তের জন্য অভিযুক্তকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা।
এই ঘটনায় জখম স্বপ্না সরকার মোহন্ত এবং তার ছেলে শীর্ষেন্দু মহন্ত জানিয়েছেন কটূক্তির প্রতিবাদ করায় তাঁদেরকে ছুরিকাহত হতে হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। অন্য দিকে বিষয়টি জানার পর ওই এলাকায় যান ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দাস। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন। এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।