বালুরঘাট: দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত ৷ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করেও নির্মুল হয়নি ক্যান্সার। এদিকে চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। সেই মানসিক অবসাদ থেকে পরিবারকে মুক্তি দিতে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হল এক প্রৌঢ়। মৃতের নাম নন্দ মণ্ডল (৬৫)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার সুকদেবপুর পুটিমাড়ি এলাকায় ৷ গত সোমবার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কীটনাশক খায় ওই বৃদ্ধ। বিষয়টি জানতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে মারা যান। এরপর গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়৷
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে ৷ কীটনাশক খেলেও গঙ্গারামপুর হাসপাতালে কোনও চিকিৎসাই করা হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, নন্দ মণ্ডল পেশায় কৃষক। ছেলে সরকারি কর্মী। ২০১৮ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হন নন্দবাবু। তারপর থেকেই চিকিৎসা চলছে তাঁর ৷ এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন নিজের চিকিৎসার জন্য। সেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে একরকম সর্বস্বান্ত হয়েছেন তিনি ৷ জমি জায়গা ও জমানো টাকা অনেক আগেই শেষ হয়েছে ৷ এত টাকা খরচ হলেও নির্মূল হয়নি ক্যান্সার। এদিকে আস্তে আস্তে গলার স্বর হারিয়েছেন তিনি। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এদিকে পরিবারকেও আর কষ্ট দিতে চাইছিলেন না। তাই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন নন্দ মণ্ডল।
গতকাল কীটনাশক খাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য গঙ্গারামপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলেও কোনও সামান্যটুকু চিকিৎসা হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের। এমনকি কীটনাশক খেলেও রোগীকে কোন ওয়াশ পর্যন্ত করা হয়নি। সঠিক চিকিৎসা পেলে হয়তো এমন ঘটনা নাও ঘটতে পাড়ত।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Minor Harassment: একরাতে ৩ নাবালিকার ‘শ্লীলতাহানি’, পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য