Fire Crackers: আইনকে থোড়াই কেয়ার, দোকানের ভিতর থেকে বেরিয়ে এল গাদা গাদা নিষিদ্ধ শব্দবাজি
Kali Puja 2022: সোমবার গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা এক যৌথ অভিযান চালান। তাতেই উদ্ধার হয় প্রায় লাখ টাকার শব্দবাজি। যদিও ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বংশীহারী: নিষিদ্ধ শব্দবাজি (Banned Fire Crackers) বিক্রি বন্ধ করতে শুরু থেকেই কড়া পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। জেলায় জেলায় সচেতন করা হয়েছে, যাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি কেনাবেচা করা না হয়। কিন্তু তারপরও টনক নড়েনি একাংশের। ধড়পাকড়ও হয়েছে অনেক। কালীপুজোর দিনেও সেই ছবির ব্যতিক্রম ঘটল না। দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পুরসভা এলাকায় একটি দোকান থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি। অনুমান করা হচ্ছে, এর বাজারদর প্রায় লক্ষাধিক টাকা। ওই বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সোমবার গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা এক যৌথ অভিযান চালান। তাতেই উদ্ধার হয় প্রায় লাখ টাকার শব্দবাজি। যদিও ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ করতে পুলিশের তরফে বার বার মাইকিং করা হয়েছে বিগত কিছুদিনে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে এই বিষয়ে একাধিকবার। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, কেউ যদি আইন ভাঙে, সেক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এরপরও ওই দোকানে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত করে রাখা হয়েছিল।
সোমবার বিকেলে গঙ্গারামপুরের মহকুমাশাসক পি প্রমথ এবং গঙ্গারামপুর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বুনিয়াদপুর পুরসভা এলাকার বিভিন্ন বাজির দোকানে ঘুরে ঘুরে অভিযান চালান। সেই অভিযান থেকে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়। প্রশাসনের তরফে এও জানানো হয়েছে, আগামী দিনে এমন অভিযান আরও চলবে আরও অভিযান চলবে। যদিও এদিন টাকার হিসেবে ঠিক কত পরিমাণ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্র থেকে আগে থেকেই পুলিশের কাছে খবর ছিল নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রির বিষয়ে। সেই মতো হানা দেওয়া হয়েছিল। সোমবার প্রশাসনের এই অভিযানের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এই অভিযানের পর এলাকায় নিষিদ্ধ শব্দবাজির কেনাবেচার উপর লাগাম পড়বে বলেই আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল।