Balurghat: ভোটের মুখে রাস্তার কাজ, নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে সরব বিজেপি
Balurghat: ওই এলাকার কাউন্সিলর ও পুরসভার দাবি, রাস্তার কাজের টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজও আগেই শুরু হয়েছে। সূত্রে খবর, অভিযোগ পেয়েই পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
বালুরঘাট: ক’দিন পরেই ভোট। এর মধ্যেই পুরসভার তরফে ধুমধাম করে রাস্তার কাজের সূচনা। শুক্রবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। এদিন বিকালে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে বালুরঘাট টাউন বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয়েছে। এই সময় কোনওভাবেই ঘটা করে রাস্তার কাজের সূচনা করতে পারে না পুরসভা। এমনকি সেই কর্মসূচিতে পরোক্ষভাবে থাকতে পারে না কোনও জনপ্রতিনিধি। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এই কাজ করেছে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি। যা আদর্শ আচরণ বিধির নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।
অন্যদিকে, ওই এলাকার কাউন্সিলর ও পুরসভার দাবি, রাস্তার কাজের টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজও আগেই শুরু হয়েছে। সূত্রে খবর, অভিযোগ পেয়েই পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের মুখে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকবাংলো পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ঢালাই রাস্তার দাবি ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। সম্প্রতি কংক্রিটের ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে নারকেল ফাটিয়ে ঘটা করে রাস্তার কাজের সূচনা করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা তৃণমূল নেতা বিপুল কান্তি ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্যরা। ভোটের মধ্য ঘটা করে রাস্তার কাজ শুরু করার ঘটনা সামনে আসতেই এ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা।
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্র বলছেন, “ওয়ার্ক ওর্ডার বেশ কিছুদিন আগের। সেই কাজই এখানে এখন হচ্ছে। উন্নয়নের যে সমস্ত কাজ চলছিল সেগুলিই হচ্ছে। আগে থেকেই হচ্ছিল সবটা। বিজেপি আসলে কুৎসা করছে। এটা ওরা আগেও করেছে। এখনও করছে। ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা নিয়ম মেনেই সব কাজ করছি।”
পাল্টা বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলছেন, “আজ ১২টার সময় ওরা রাস্তার কাজ শুরু করেছে। কাজটা কিন্তু ওরা আগেই করতে পারত। কিন্তু, ভোট আসছে বলে মানুষকে কাজ দেখিয়ে ভোট ক্যাপচার করার ধান্দা। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলার সময় কাজ করা যায় না। ওরা আসলে সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন। ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা বিজেপিকে ভোট দেবে বলে রেডি। কাজ বন্ধের জন্য আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।”