গঙ্গারামপুর: একুশের ভোটের হিংসায় মৃত গঙ্গারামপুরের এক বিজেপি কর্মীর (BJP Worker) পরিবারের পাশে দাঁড়াল দল। বুধবার বিকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানপাড়া এলাকার মৃত বিজেপি কর্মী মানবেশ দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। মৃতের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কার্যকর্তারা। আর্থিক সাহায্য প্রদানের পাশাপাশি আগামীতেও মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন সুকান্তবাবু।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভোট চলাকালীন সংঘর্ষে মারা গিয়েছিলেন মানবেশ দাস। রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল। তবে এই মৃত্যুর কারণ কী প্রশাসন দেখবে বলে জানান তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসায় এই ঘটনা ঘটেনি। ২ মে-র আগে হয়েছিল।” তাই একে ভোট পরবর্তী হিংসা বলতে অবশ্য নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর গত ২৭শে এপ্রিল গঙ্গারামপুর থানার ধর্মকাঁটা এলাকায় বিজেপির আদি ও নব্য দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত হয় ১১নং ওয়ার্ডের ৬০নং বুথের সভাপতি মানবেশ দাস সহ আরও এক বিজেপি কর্মী। ঘটনার পরে আহতদের গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে মানবেশ দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়। তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
কী হয়েছিল সেদিন? গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন প্রাণসমিতিতে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আদি বিজেপি তথা ৬০ নম্বরের বুথ সভাপতি মানবেশ দাস ও নব্য বিজেপি কর্মী সমর্থক পিনাকি প্রামাণিক। বচসা হাতাহাতিতে পোঁছয়। অভিযোগ, আদি বিজেপি কর্মী মানবেশ দাসের উপর লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায় পিনাকি ও তার সঙ্গীরা। শুধুমাত্র মানবেশ নয় মারধর করা হয় আর এক পুরনো বিজেপি কর্মী তারক দাসকেও। ঘটনায় দু’জনেই গুরুতর আহত হন। যার মধ্যে মানবেশ দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
ওই দিন রাতেই মানবেশবাবুকে প্রথমে গঙ্গারামপুর ও পরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে রেফার করার হয়। সেখানে দু’দিন ধরে চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মীর। এই ঘটনায় মৃত বিজেপি কর্মী স্ত্রী রেবা দাস গঙ্গারামপুর থানায় ৬ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার প্রায় ৫ মাস পর মৃত বিজেপি কর্মীরা পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ জেলা নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘৬ লক্ষ ত্রিপল কোথায় গেল?’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন দিলীপের