কুমারগঞ্জ: চোরের মতো রাতের অন্ধকারে প্রেমিকার বাড়িতে প্রবেশ করার চেষ্টা! তার জেরে যে এমন পরিণতি হবে, তা কল্পনাও করেনি কিশোরীর পরিবার। যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পর বাড়ি ফিরে কিশোরীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তার পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় বালুরঘাট হাসপাতালে। বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন ওই যুবক। তিনি কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করলেও, কিশোরীর পরিবারের কাছে বিষয়টা স্পষ্ট নয়। কী কারণে ১৩ বছরের ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, রাতের অন্ধকারে ওই যুবক বাড়িতে আসার বিষয়টি পরিবারের লোকজন দেখে ফেলায় লজ্জায় এভাবে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ থানার দিওড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মপুরে। মৃতা ছাত্রী বাহিচা হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। এমন আকস্মিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে৷ পুলিশ প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, ছাত্রীর বাবা পেশায় দিনমজুর। তারা চার বোন। বড় তিন দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কুমারগঞ্জের নেত্রডাঙ্গা এলাকার ওই যুবক জানিয়েছে তাঁর সঙ্গে ওই ছাত্রীর সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, মঙ্গলবার গতকাল রাত ১১ টার দিকে ওই যুবক ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন ও ওই যুবককে চোর ভেবে মারধর করেন।
সেই সময় সম্পর্কের কথা বলেন ওই যুবক। এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যুবকের পরিবারের সদস্যরাও। প্রেমিককে মারধর করে পুলিশে দেওয়া পরই আত্মঘাতী হয় ওই নাবালিকা। আত্মীয়রা জানান, ১০ – ১৫ মিনিটের জন্য বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সময়েই আত্মঘাতী হয় ওই কিশোরী। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে কুমারগঞ্জ থানার তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি জানতে পেরে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷