বালুরঘাট: প্যারোলে বেরিয়ে আত্মহত্যা বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীর। মৃতের নাম নারায়ণ মণ্ডল (৫৫)। বাড়ি তপন থানার রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের করদহতে। তবে বর্তমানে তাঁর স্ত্রী চকভৃগু এলাকায় দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বিকালে ভাড়া বাড়ির শৌচালয় থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পুলিশ মর্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার কারণে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কী কারণে ওই আসামী আত্মহত্যা করল তা নিয়ে ধন্দে পরিবার পরিজন। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে নিজের দাদাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল নারায়নের বিরুদ্ধে। জমি জমা নিয়ে সমস্যার জেরে ভাইয়ে ভাইয়ে বচসা ছিল দীর্ঘ সময় ধরেই। সংঘর্ষও হয়। অভিযোগ ওঠে, এরকমই এক ঝামেলার মধ্যে ভাইয়ের লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয় দাদা কার্তিক মণ্ডলের। ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়৷ নারায়নকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হয়। তার পর থেকে নারায়ণ বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছে৷
প্রায় ১৪ বছর হল বালুরঘাটে রয়েছে সে। চলতি মাসের ৪ তারিখ প্যারোলে বের হয় নারায়ণ। সোমবার তার সংশোধনাগারে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। শনিবার শৌচালয়ের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবার ও পুলিশ প্রশাসন। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।