Blood Sell: মোবাইল কেনার টাকা নেই, হাসপাতালে রক্ত বিক্রি করতে এল নাবালিকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Oct 17, 2022 | 7:03 PM

Balurghat: জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাবা পেশায় সব্জি ব্যবসায়ী। রবিবার অনলাইনে একটি মোবাইলের অর্ডার দেয় সে। আগামী বৃহস্পতিবার মোবাইলটি আসার কথা রয়েছে।

Blood Sell: মোবাইল কেনার টাকা নেই, হাসপাতালে রক্ত বিক্রি করতে এল নাবালিকা
ওই নাবালিকার কাউন্সিলিং হচ্ছে চাইল্ড লাইনে

Follow Us

বালুরঘাট: অনলাইনে মোবাইল অর্ডার দিয়েছিল। ডেলিভারি আসার সময় এসে গেলেও জোগাড় হয়নি টাকা। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতাও তেমন নেই, যে মোবাইল কেনার খরচ দিয়ে দেবে। তাই মোবাইল কিনতে রক্ত বিক্রি করতে ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে এসেছিল এক নাবালিকা। কিন্তু তার কথা শুনে সন্দেহ হয় হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীদের। তাঁরা খবর দেন চাইল্ড লাইনে। এর পর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি কাউন্সিলিং করায় ওই নাবালিকার। চাইল্ড লাইনের তরফেই খবর দেওয়া হয় নাবালিকার পরিবারকে। তার পর পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই নাবালিকাকে। সোমবার এ রমকই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। বালুরঘাট হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে রক্ত বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল ওই নাবালিকা কিশোরী। তার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের করদহ এলাকায়।

জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাবা পেশায় সব্জি ব্যবসায়ী। বাবা বাদেও বাড়িতে অসুস্থ মা ও ভাই রয়েছে তার। রবিবার অনলাইনে একটি মোবাইলের অর্ডার দেয় সে। আগামী বৃহস্পতিবার মোবাইলটি আসার কথা রয়েছে। এদিকে মোবাইল অর্ডার দিলেও তা কেনার টাকা ছিল না। কোনও ভাবে সেই টাকাও জোগাড় করতে পারেনি সে। তখনই রক্ত বিক্রির কথা মাথায় আসে বলে জানিয়েছে ওই কিশোরী। মোবাইল কেনার জন্য এদিন বালুরঘাট ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত বিক্রি করতে আসে সে। প্রথমে এসে সে জানায়, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করবে। কিছু বাদেই জানায় সে রক্ত বিক্রি করতে চায়। এমন কথা শুনে হকচকিয়ে যায় ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা। এর পর তাকে বসিয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় জানা যায় ওই কিশোরী মোবাইল কেনার জন্য রক্ত বিক্রি করতে এসেছে। খবর পেয়ে চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ ওই কিশোরীকে নিজেদের অফিসে নিয়ে যায়। ওই কিশোরীকে বোঝানো হয় রক্ত বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয়। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে কাউন্সিলিং করেন চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বালুরঘাট ব্লাড ব্যাঙ্কের কাউন্সিলর কনক কুমার দাস বলেছেন, “ওই কিশোরী প্রথমে রক্ত পরীক্ষা করার কথা বলেন। পরে সে রক্ত বিক্রির কথা বলে। সে জানায় মোবাইল কেনার জন্য তার টাকার দরকার। সে রক্ত বিক্রি করতে এসেছিল। তার কথায় একাধিক অসঙ্গতি থাকায় চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” এ নিয়ে চাইল্ড লাইনের তরফে রীতা মাহাতো জানিয়েছেন, ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে একটি কিশোরীকে নিয়ে আসা হয়েছে। রক্ত বিক্রি করতে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পুরোটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তার কাউন্সিলিংও করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোন মন্তব্য করতে চাননি কিশোরীর পরিবারের লোকেরা।

Next Article