দক্ষিণ দিনাজপুর: বাংলাদেশে পাচারের আগে উদ্ধার হল কয়েক লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ (Cough Syrup)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তপন থানার পুলিশ রামপুরে একটি বেসরকারি বাসে অভিযান চালায়। সেখান থেকেই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়। ১২টি বাক্সে রাখা ছিল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের বোতলগুলি। সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪০টি নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। এদিকে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচারের অভিযোগে দু’ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম মোর্তজা শেখ ও সুরজ শেখ। ধৃতদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ এলাকায়। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের রামপুর হাইস্কুলের সামনে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে।
এদিকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধারের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তপন থানার আইসি গৌতম রায়, রামপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ প্যাট্রিক কেরকেটা-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক। ইতিমধ্যেই ধৃতদের জেরা শুরু করেছে তপন থানার পুলিশ। এদিকে বাসের ভিতর এমন ঘটনায় প্রথমে কিছুটা ঘাবড়ে যান বাসের অন্যান্য যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন বেসরকারি বাসটি মালদা থেকে বালুরঘাটের দিকে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাসটিকে রামপুরে আটকায় তপন থানার অন্তর্গত রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর বাসে তল্লাশি চালিয়ে বাস থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার করে পুলিশ। বাস থেকে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের ১২টি প্যাকেট উদ্ধার করে পুলিশ। যার প্রত্যেকটি প্যাকেটে ৩২০টি বোতল করে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ছিল।
যেখানে মোট ৩ হাজার ৮৪০ বোতল কাফ সিরাপ উদ্ধার হয়। বালুরঘাটে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপগুলি আনা হচ্ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গোপনে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
বাংলাদেশে পাচারের আগেই সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, এই পাচারচক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত? এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার বর্মন বলেন, “রামপুরে পুলিশ জাতীয় সড়কের উপর একটি বাস আটকে প্রচুর কাফ সিরাপ উদ্ধার করল দেখলাম।” ঘটনায় বাসের চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশসুপার রাহুল দে বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি বেসরকারি বাসে অভিযান চালিয়ে প্রায় চার হাজার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়। পাচারের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে যে এই চক্রের শিকড় কতদূর।