Farmer: শুখা আত্রেয়ী যেন কৃষকদের কাছে অভিশাপ; চোখের সামনে পুড়ছে ফসল, পুড়ছে অন্নদাতাদের কপালও

Rupak Sarkar | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 18, 2023 | 8:00 AM

Dakkhin Dinajpur: সেচের জল না পাওয়ায় কৃষিকাজ করতে পারছেন না তাঁরা। বিডিওর হস্তক্ষেপের দাবিতে শুক্রবার ব্লক অফিসে তাঁরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। প্রায় ১০০ জন কৃষক সামিল হন এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।

Farmer: শুখা আত্রেয়ী যেন কৃষকদের কাছে অভিশাপ; চোখের সামনে পুড়ছে ফসল, পুড়ছে অন্নদাতাদের কপালও
এমনই অবস্থা হয়েছে নদীর।

Follow Us

বালুরঘাট: নদীর জল শুকিয়েছে। ফলে চাষের জমির জন্যও জল পাচ্ছেন না কৃষকরা। এখনও পুরোপুরি শীতের বিদায় ঘটেনি। এরইমধ্যে এই দুর্ভোগ। গ্রীষ্মকালে যে এ ছবি আরও কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠবে ভেবেই কূল পাচ্ছেন না দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রামপঞ্চায়েতের চকভাতশালা, ফতেপুর, বাঁধমুল্লুক গ্রামের কৃষকরা। আত্রেয়ী নদীর বুক শুকিয়েছে। যার ফলে কাশিয়া খাঁড়ির অবস্থাও খুবই খারাপ। নেই জলের চিহ্ন। সেচের কাজের জন্য জলের অভাবে হাহাকার করছেন কৃষকরা। হাজার হাজার কৃষকের এখন কপালে হাত। কৃষকদের অভিযোগ, সপ্তাহখানেক বা তার বেশি সময় ধরেই এই পরিস্থিতি। এ নিয়ে ইতিমধ্যে বালুরঘাটের বিডিওকে তাঁরা জানিয়েওছেন। কৃষকদের অভিযোগ, এরপর সাতদিন কেটে গেলেও বিডিও কোনওরকম পদক্ষেপ করেননি। আর তার জেরে সমস্যা বেড়েই চলেছে কৃষকদের। সেচের জল না পাওয়ায় কৃষিকাজ করতে পারছেন না তাঁরা। বিডিওর হস্তক্ষেপের দাবিতে শুক্রবার ব্লক অফিসে তাঁরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। প্রায় ১০০ জন কৃষক সামিল হন এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।

জলঘর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় নদী সেচ প্রকল্প বা রিভার লিফ্ট ইরিগেশন বা আরএলআই (RLI) সেন্টারের সংখ্যা ৮। নদীর জল সেচের কাজে লাগানোর জন্য আরএলআই প্রকল্প। এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের দীর্ঘতম নদী (৫৮ কিলোমিটার) আত্রেয়ীতে জলের অভাব থাকায় চারটি আরএলআই বন্ধ। অথচ এখান থেকে কয়েক হাজার একর চাষের জমিতে জল সরবরাহ হয়। এর জেরে ধান চাষ প্রভূত ক্ষতির মুখে পড়ছে। অন্যান্য ফসল নিয়ে ভুগতে হচ্ছে কৃষকদের। এমনকী জলের অভাবে ক্ষেতে ফলে থাকা ফসলও নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চরম বিপাকে পড়তে হবে কৃষকদের।

উত্তম দেব নামে এক কৃষক বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখ বিডিওকে লিখিত দিয়েছিলাম। তারপরও উনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। ২০-২২ বিঘার ফসল একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধান, শস্য, করলা, পটল সব একেবারে জলেরঅভাবে শেষ। সেচ দফতর বলছে বিডিও কিছুই তাদের জানায়নি। আবার আমাদের দরখাস্ত জমা দিতে বলল।” এদিন কৃষকরা কৃষিযান্ত্রিক শাখার অফিসেও যান। সেখানে গিয়ে আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন। কৃষিযান্ত্রিক শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ওমশঙ্কর মণ্ডলের বক্তব্য, “আমরা কৃষকদের সমস্যার কথা শুনলাম। সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছি।” যদিও এ নিয়ে বিডিওর কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। তা পাওয়া গেলেই যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে।

Next Article