বালুরঘাট: ডিভোর্সের একদিন পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক গৃহবধূ। মৃতার নাম টুম্পা খাতুন(২৪)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর বালুরঘাটের ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের হলদিডাঙা এলাকায়। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে মঙ্গলবার তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃতার পরিবারের প্রাথমিক অনুমান ডিভোর্সের পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল টুম্পা। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত হওয়ার পর দেহটি পরিবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কী কারণে ওই গৃহবধূ আত্মঘাতী হল তা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, প্রায় বছর চারেক আগে হলদিডাঙার বাসিন্দা টুম্পার সঙ্গে কুমারগঞ্জ ব্লকের সীতাহার পুকুরপাড়া এলাকার সাজিদুর ইসলামের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি সন্তান রয়েছে ৷ সাজিদুর পেশায় কৃষক৷ টুম্পা ও সাজিদুর নিজেরাই দেখাশুনা করে বিয়ে করেন ৷ তবে এই বিয়েতে প্রথম থেকে সম্মতি ছিল না পরিবারের। যদিও মেয়ের কথা ভেবে বিয়ে মেনে নিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে দম্পতির মধ্যে নানা রকম সমস্যা লেগেই থাকত। কিছুদিন যেতেই টুম্পাকে সাজিদুর বলেন যে তাঁর সঙ্গে সংসার করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। অবশেষে গত শনিবার অফিশিয়াল ভাবে ডিভোর্স হয়ে যায়। এ দিকে ডিভোর্সের পর থেকেই মনমরা হয়ে যায় টুম্পা। এমনকী ডিভোর্সের জন্য বাপের বাড়ির তরফেও টুম্পাকেই দোষারোপ করা হয় বলে অভিযোগ৷ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। অবশেষে সোমবার রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় টুম্পা।
এ বিষয়ে মৃতার আত্মীয় হাফিজুর রহমান বলেন,”নিজেরাই দেখা শুনে করে বিয়ে করে৷ এই বিয়েতে সেভাবে আমাদের সম্মতি ছিল না৷ বিয়ের পর থেকেই অশান্তি লেগেই থাকত। কিছুদিন যেতেই সাজিদুর বলে টুম্পার সঙ্গে সে আর সংসার করতে পারবে না। আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করেছিলেন বিয়েটা যাতে না ভেঙে যায় ৷ কিন্তু শেষ অবধি গত শনিবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় টুম্পা ৷ ডিভোর্সের ধাক্কা হয়ত সহ্য করতে পারেনি।”
অন্যদিকে বালুরঘাট থানার তরফে জানানো হয়েছে, খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠান হয়েছে ৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তারা৷