Joynagar TMC Leader Murder: আটদিন আগে বাবাকে হারিয়েছেন, ভাঙা পায়ে পোড়া বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন একা ফিরোজা
Joynagar TMC Leader Murder: মাথার ছাদ যাতে রক্ষা করা যায়, তার জন্য রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ফিরোজা লস্কর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তাঁরে পায়ে লাঠি মেরে তাঁকে সরিয়ে তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই আগুন এখনও জ্বলছে ধিক ধিক করে।

জয়নগর: দলুয়াখাকির লস্করপাড়ায় এখন শুধুই চোখের জল। খাবার নেই, জল নেই, পরার পোশাক পর্যন্ত নেই। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা লস্করের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, একপাশে এখনও ধিকধিক করে জ্বলছে। ছাই থেকে বেরচ্ছে ধোঁয়া। আর এক পাশে খাটের পর বসে আছেন একা ফিরোজা। ভাঙা পায়ে বাঁধা ব্যান্ডেজ। মাত্র ৮ দিন আগে বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। পরিবারে আর কোনও সদস্য নেই। তাই একাই আগলাচ্ছেন সেই পোড়া বাড়ি।
সোমবার সকালে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনের মৃত্যুর পর সন্দেহের বশে দলুয়াখাকির একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দলুয়াখাকির পরিবারগুলির দাবি, তৃণমূল কর্মীরাই তাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। দমকল বাহিনীকেও প্রথমে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
মাথার ছাদ যাতে রক্ষা করা যায়, তার জন্য রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ফিরোজা লস্কর। ফিরোজা জানান, দুষ্কৃতীরা হঠাৎ ছুটে আসেন তাঁর বাড়ির দিকে। তাঁকে বলা হয়, সর না হলে মারব। সরেননি বলে তাঁর পায়ে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। কোনও ক্রমে পা টেনে টেনে বাইরে যান তিনি। পরে পুলিশ পৌঁছলে তাঁদের কাছে আর্জি জানান চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য। আঘাত লাগার অন্তত ৮ ঘণ্টা পর তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়। আপাতত একাই বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন তিনি।
একই ছবি দলুয়াখাকির লস্করপাড়ার হাফিজুল লস্করের বাড়ি। সব হারিয়ে হাফিজুলের পরিবারের চোখে জল ছাড়া আর কিছু নেই। পোশাক পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। টাকা, গয়না গিয়েছে সবই। কেন এমন হল, হাফিজুলের মেয়ে বলেন, “আমার বাবা সিপিএম করে সেই জন্য আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
