রাজ্য়পালের সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলি দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 27, 2020 | 1:23 PM

নতুন জেলাশাসক হলেন শশাঙ্ক শেঠি। পোন্নামবালামকে জেলাশাসকের পদ থেকে স্থানান্তরিত করে জমি ও জমি সংরক্ষণ দপ্তরের যুগ্ম সভাপতির পদে বসানো হল।

রাজ্য়পালের সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলি দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক
ফাইল চিত্র।

Follow Us

TV9 বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যপালের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে দেখা করাই কাল হল! সাক্ষাতের পরই দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের পদ থেকে সরানো হল পোন্নামবালাম এস-কে। তার জায়গায় আসছেন শশাঙ্ক শেঠি। রাজ্যে রদবদল লেগেই থাকে, তবে দার্জিলিংয়ে গদিটা আরও বেশি নড়বড়ে। পদে বসার ছয় মাসের মধ্যেই বদলির চিঠি হাতে পেলেন পোন্নামবালাম। তাঁকে জেলাশাসকের পদ থেকে স্থানান্তরিত করে জমি ও জমি সংরক্ষণ দপ্তরের যুগ্ম সভাপতির পদে বসানো হল।

অন্যদিকে নতুন জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি হলেন পশ্চিমবঙ্গ এগ্রি মার্কেটিং কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ -র প্রজেক্ট ডিরেক্টর। দীর্ঘ একমাসের দার্জিলিং সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানেই সোমবার তার সঙ্গে দেখা করেন জেলাশাসক। আর তার কয়েকঘণ্টা বাদেই বদলির নির্দেশ আসে উচ্চমহল থেকে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একে রুট্ন বদলি বলা হলেও বিরোধীদল এই রদবদলের সমালোচনা করে। দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন,”রাজ্যে তৃণমূল সরকার পরিচালনার নামে যে স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থার সৃষ্টি করছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ দার্জিলিং। ভারতের সমস্ত রাজ্য়গুলির মধ্যে একমাত্র দার্জিলিংই দেড় বছরের কম সময়ের মধ্যে পাঁচজন জেলাশাসক দেখল।”

রাজু বিস্তার আরও অভিযোগ,”মিউজ়িকাল চেয়ারের এই খেলাটি তৃণমূল শুরু করেছে এবং তা পরিচালনা করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। খেলা শুরু হয় ২০১৯-র ২৯ জুন থেকে, জয়সী দাশগুপ্তকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয় সঞ্জয় বনসলকে। পদে বসার দু’দিনের মধ্যেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার তার জায়গায় আসে দীপাপ্রিয়া পি। ১১ মাস কাজ করার পর তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। জেলাশাসকের পদে বসেন পোন্নামবালাম। ছয়মাসের মাথায় তাঁকেও সরিয়ে দিয়ে এবার শশাঙ্ক শেঠিকে আনা হচ্ছে।”

একজন অফিসারকে তাঁর পদ ও কাজ বুঝে নিতে নূন্যতম সময় দেওয়া উচিত। জনসাধারণের সেবায় লেগে পড়ার আগে তাঁকে নিজের কাজের পরিধি ও ক্ষমতা বুঝে নেওয়ার সুযোগটুকু অন্তত দেওয়া উচিত। কয়েকদিন বা কয়েকমাসের মেয়াদ হলে তা প্রশাসনেরই ক্ষতি করবে। এমনটাই মত রাজু বিস্তার। পুন্নামবালাম ছাড়াও ১১ আইএএস অফিসার ও ২১ আইপিএস অফিসারের বদলি করা হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশানুসারেই যারা একটি পদে তিন বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন, তাদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

রদবদলে প্রাক্তন স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারকে পরিবেশ দফতরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ মূল্যায়ন বোর্ডে অতিরিক্ত পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীকে দেওয়া হয়েছে বীরভূমের দায়িত্ব। সেখানের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু পেলেন জলপাইগুড়ি জেলার দায়িত্ব। অভিষেক কুমার তিওয়ারি, যিনি জলপাইগুড়ির দায়িত্বে ছিলেন, তিনি রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব পেলেন। বিভু গোয়েলকে নদিয়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুর ও পার্থ ঘোষকে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে নদিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Next Article