শিলিগুড়ি: হাতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার। চাকরিতে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছলেন যুবক। কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন তিনি। নিয়োগপত্র দেখে চোখ কপালে আধিকারিকদের। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হল পুলিশকে। তদন্তের স্বার্থে এখনই মুখ খুলতে চাইছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। ধৃতের নাম মুস্তাক আলি, তিনি রায়গঞ্জের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ২৫ বছরের ওই যুবক বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁরই এক আত্মীয় ইমরান আলি। তাঁদের হাতে ছিল স্বাস্থ্য দফতরের একটি নিয়োগপত্র। সেটি অধ্যক্ষের কাছে জমা দিতেই, সন্দেহ বাড়ে। কারণ, নিয়োগপত্রের শেষে যে সই ছিল তা জাল বলে মনে করেন অধ্যক্ষ।
এছাড়া, এই ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে আপলোড হয়। তা না হওয়ায় অধ্যক্ষের সন্দেহ বাড়ে। ওই যুবক ও তাঁর আত্মীয়কে আটকে রেখে, মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশকে খবর খবর দেন অধ্যক্ষ।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অধ্যক্ষের দফতর থেকে তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশি জেরায় তারা স্বীকার করে নেয় যে, ওই নিয়োগপত্র ভুয়ো। দেড় লক্ষ টাকায় নিয়োগপত্র কিনেছে তারা। তবে এর মূলে কে রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার ধৃত দুজনকে আদালতে তোলা হবে।
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার ইন্দ্রজিৎ সাহাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ভুয়ো নিয়োগপত্র গিয়ে চাকরি হাতানোর চেষ্টা করছিলেন এক যুবক। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।